November 27, 2024
আঞ্চলিকবিজ্ঞপ্তিলেটেস্ট

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা এ দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল’

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, ক্ষণজন্মা বঙ্গবন্ধু ৫৫ বছরের জীবনে ১৩ বছরই অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য কারাগারে ছিলেন। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষকে অসম্ভব ভাল বাসতেন এবং মানুষের মনের কথা বুঝতে পারতেন বলেই তিনি জাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন, স্বপ্ন পূরণে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি যে ধারা চালু করেছিলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তা উল্টোপথে চলা শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্গজনক অধ্যায় আগস্ট মাস। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা এদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল। তবুও বলব আমরা সৌভাগ্যবান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নীল বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে। যেন পিতার স্বপ্নের পূর্ণতা কন্যার হাত ধরে। এই অগ্রযাত্রার ইতিহাসে পাতায় পাতায় চিরভাস্বর হয়ে আছে স্বপ্নীল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ণে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
মঙ্গলবার বাদ মাগরিব খুলনা দলীয় কার্যালয়ে শোকাবহ ১৫ আগস্ট উপলক্ষে মহানগর কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর কৃষক লীগের আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি। আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন নগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. রাজু আহমেদ ও কানাই রায়।
নগর কৃষক লীগের সদস্য সচিব অধ্যা. এবিএম আদেল মুকুলের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডা. মাহফুজুল হক, মো. মোস্তাকিম লালু, মো. রফিকুল ইসলাম ডাবলু, মো. আইউব আলী, আলমগীর মল্লিক, মো. শহীদুল হাসান, অধ্যাপক প্রশান্ত গাইন, শেখ হারুন মানু, মনিরুল ইসলাম গাজী, মো. রেজোয়ান আকুঞ্জি রাজা, এস এম শাহিদুল ইসলাম টিটু, শেখ আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবুল, অনিক রায়, মো. আবু নাঈম, মুরাদুল ইসলাম খলিফা, মোল্লা মো. সেলিম, শেখ আকরাম হোসেন, কাজী আবু আল সৌদ, রেজা দারিয়া, মোক্তার হোসেন, লুৎফর রহমান, বাবুল হোসেন, আবু হাসান, হাবিবুর রহমান, সেজান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে শোকাবহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি রফিকুল ইসলাম।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *