বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে : সিটি মেয়র
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন না করে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। একই সাথে সামরিক আইন জারি করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, ন্যায় বিচারসহ সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ছিলো।
তিনি আরও বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে পিতার মত জাতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি শহীদ জয়নাল আবেদিনকে স্মরণ করে বলেন, সুবেদার মেজর জয়নাল আবেদিন একা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৭৪ জনকে হত্যা করেছিলেন। তার মত একজন দেশপ্রেমিক যোদ্ধাকে বিগত দিনে কোন সরকার মূল্যালয়ন করেনি। একমাত্র জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাই দেশপ্রেমিক হিসেবে জয়নাল আবেদিনকে যথার্থ মূল্যায়নের করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মূল্যায়ন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সহ সর্বত্রই সুবিধা করে দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সুবেদার মেজর জয়নাল আবেদিন এর নামে চার তলা বিশিষ্ট একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন সকলে মিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে সম্মান জানিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাই।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর আল আমিন মহল্লায় শহীদ সুবেদার মেজর জয়নাল আবেদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. ইকবাল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং শহীদ সুবেদার মেজর জয়নাল আবেদিন ও হাজেরা মানিক স্মৃতি সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম সিরাজুদ্দোহা, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি, উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইফুল তারেক, থানা শিক্ষা অফিসার শেখ মো. নূরুল ইসলাম, শহীদ সুবেদার মেজর জয়নাল আবেদিন ও হাজেরা মানিক স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং শহীদ যোদ্ধার ছেলে শেখ মো: শামসুদ্দোহা বাঙালী, স্কুলের জমিদাতা আবুল কাশেমের ছেলে মো: ফরিদ উদ্দিন।
সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী, খুলনা সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক, এলজিইডি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জমি দাতা সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ