ফ্লেচারের সেঞ্চুরিতে সিলেটের প্রথম জয়, হারলো খুলনা
ক্রীড়া ডেস্ক
ছন্নছাড়া ব্যাটিং, অনিয়ন্ত্রিত বোলিং ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিলো সিলেট থান্ডার। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তাই হারই ছিল তাদের সঙ্গী। অবশেষে জয়ের দেখা মিললো। আন্দ্রে ফ্লেচারের সেঞ্চুরিতে চলতি বিপিএলে প্রথম জয় পেয়েছে সিলেট। গতকাল শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে ৮০ রানে।
ফ্লেচারের সৌজন্যে বঙ্গবন্ধু বিপিএল দেখলো প্রথম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ক্যারিবিয়ান ওপেনার খেলেছেন অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস। সঙ্গে তার জাতীয় দল সতীর্থ জনসন চার্লসের ৯০ রানে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সিলেট দাঁড় করায় ২৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ। কঠিন লক্ষ্যে ১৮.৩ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।
তাতে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেলো সিলেট। অন্যদিকে চলতি টুর্নামন্টে খুলনার এটি প্রথম হার। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর হারতে হলো মুশফিকুর রহিমদের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের শুরুটা কিন্তু ভালো ছিল না। দলীয় ১১ রানে হারায় ওপেনার আব্দুল মজিদের (২) উইকেট। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে চট্টলায় ওঠে ক্যারিবিয়ান ঝড়। ফ্লেচার ও চার্লস তাণ্ডব চালান খুলনার বোলারদের ওপর। চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন তারা ১৫০ রানের জুটি।
ওয়ান ডাউনে নামা চার্লসই ছিলেন বেশি ভয়ঙ্কর। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জেগেছিল তার ব্যাটেই। কিন্তু ৯০ রানে তাকে থামতে হয় শফিউল ইসলামের বলে এলবিডাবিøউ হয়ে। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসে তিনি ১১ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৫ ছক্কা।
চার্লস না পারলেও ভুল করেননি ফ্লেচার। চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি পূরণ করে এই ওপেনার অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। ৫৭ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১ চার ও ৫ ছক্কায়। এছাড়া অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও নাজমুল হোসেন মিলন দুজনই করেন ১১ রান।
সিলেটের ব্যাটিং ঝড়ে ওভারপিছু ১০-এর নিচে রান দিয়েছেন কেবল রবি ফ্রাইলিঙ্ক। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ৩৭ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট শিকার শফিউল, শহীদুল ইসলাম ও রবিউল হকের।
২৩৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে শুরুতেই এলোমেলো সিলেট। আগের ম্যাচগুলোতে দাপট দেখানো আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ রানের খাতা খোলার আগেই আউট। আরেক ওপেনার সাইফ হাসানকে নিয়ে রাইলি রুশে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও হয়নি। রানআউটের শিকার হয়ে সাইফ ফেরেন ২০ রানে। কঠিন লক্ষ্যে অধিনায়ক মুশফিকও ব্যর্থ, ১২ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
রুশো অবশ্য চেষ্টা চালিয়েছেন। ৩২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করে যান ৫২ রান। ফ্রাইলিঙ্কও ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। ২০ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে করেন ৪৪ রান। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে না পারায় প্রথম হারের মুখ দেখতে হয় খুলনাকে।
বিপরীতে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় সিলেট। যে জয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন এবাদত হোসেন। ৩.৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন ক্রিশমার সান্টোকি। আরেক পেসার মুনির হোসেনও নামের পাশে যোগ করেছেন ২ উইকেট।