September 8, 2024
আন্তর্জাতিক

ফোন পড়ে গিয়েছিল’, কোহলি-কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি নিয়ে আজব যুক্তি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে হারের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলির নয় মাসের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। এ নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরিচয় লুকাতে টুইটারে নিজেকে পাকিস্তানি দেখানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সম্প্রতি ধরা পড়েছেন সেই লোক। কিন্তু তার হুমকি দেওয়া নিয়ে এখন অদ্ভুত সব যুক্ত দেখাচ্ছেন স্বজনেরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গত বুধবার (১০ নভেম্বর) হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ বছর বয়সী রামনাগেশ আলিবাতিনিকে। পেশায় তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, আগে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে কাজ করলেও বর্তমানে বেকার।

ছেলে গ্রেফতারের পর ভেঙে পড়েছেন বাবা শ্রীনিবাস। তার বক্তব্য, আমার ছেলে ক্রিকেটপ্রেমী এবং প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সে খুব শান্ত। যখন জানতে পারলাম সে কী করেছে, আমি তাকে বলেছিলাম, ভারত যদি পাকিস্তানের কাছে হারে, তাহলে তার উচিত ছিল ক্রিকেটারদের নিয়ে টুইট করা, তাতে কন্যার কথা উল্লেখ করা উচিত নয়। আমি বুঝতে পারছি না সে কেন এমন করল।

তবে বেশি আলোচনায় এসেছে রামনাগেশের বাবার এক বন্ধুর বক্তব্য। কৃষ্ণমূর্তি নামে ওই ব্যক্তি গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, আসলে ম্যাচ শেষে ও (রামনাগেশ) খুব রেগে ছিল এবং অনলাইনে চ্যাট করছিল। সেই সময় ভুলবশত ওই টুইট করে ফেলে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে টুইটটি মুছে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু হাত ফসকে ফোনটি পড়ে যায়। এরপর ড্যামেজ কন্ট্রোল করার আগেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই টুইট। তারপর থেকে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে রামনাগেশ।

অভিযুক্তের স্বজনদের এমন অদ্ভুত অজুহাত নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই, তেমনই একজন কমেডিয়ান-লেখক বরুণ গ্রোভার। বরুণ টুইটারে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, ফোন হাত ফসকে পড়ে টুইট হয়ে যায়। তারপর ফোন আবার পড়ে যায় এবং প্রোফাইল একটি ভুয়া পাকিস্তানি অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত হয়। তারপর ফোন আবারও পড়ে যায় এবং পুরোনো সব টুইট ডিলিট হয়ে যায়।

এই টুইটে বরুণ বিদ্রুপ করে স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন, আইআইটি স্নাতক এক যুবকের জন্য এমন অজুহাত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ঘটনার সূত্রপাত মূলত ২৪ অক্টোবর। দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে ভারত ১০ উইকেটে হারার পর ভারতীয় ফাস্ট বোলার মোহম্মদ শামিকে ধর্মীয়ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। এরপর ৩০ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন সতীর্থ শামির ওপর আক্রমণকারীদের ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে তীব্র সমালোচনা করেন কোহলি। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অধিনায়কের শিশুকন্যা ভামিকাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *