ফেসবুকজুড়ে চঞ্চল চৌধুরীর মায়ের জন্য ভালোবাসা
সেদিন ছিলো মা দিবস। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে বাঁধাহীন আবেগ ঝরেছে সব সন্তানের অন্তরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে প্রায় সবাই মায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন।
কারো মা নেই। মিস করেছেন। চোখের পাতা ভিজিয়েছেন মায়ের স্মৃতিচারণ করে। কেউ বা মায়ের থেকে দূরে আছেন। মায়ের কাছে থাকতে না পারার যাতনা প্রকাশ করেছেন। তার সেসব কথামালার আবেগ সংক্রমিত হয়েছে মানুষে মানুষে।
অনেকে মায়ের সঙ্গে থাকতে পারার আনন্দের উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক মা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও। সঙ্গে জুড়েছিলেন মায়ের সঙ্গে হাসিমাখা অদ্ভুত সুন্দর একটি ছবি।
সেই ছবিটিই কি না সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলো। অনেক নেটিজেন চঞ্চল চৌধুরীকে হিন্দু বলে কটাক্ষ করেছেন। ধর্মান্ধদের নোংরা ভাষার শিকার হয়েছেন এ অভিনেতার মা। স্বভাবতই আহত চঞ্চল।
এ পৃথিবীতে একটাও সন্তান নেই যে কি না মায়ের অপমান সহ্য করে। চঞ্চলও তার মায়ের সন্তান।
চঞ্চল চৌধুরীর আহত হওয়া, তার মানসিক অবস্থার কথা উপলব্ধি করেছেন তার লাখো ভক্ত ও সহকর্মী-অনুরাগীরা। তার সোচ্চার হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চঞ্চলের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
৯ মে সন্ধ্যার পর থেকেই ফেসবুক ভেসেছে চঞ্চল চৌধুরী ও তার মায়ের সেই ছবিতে। নেটিজেনরা এই ছবিটি নিজেদর ফেসবুকের দেয়ালে শেয়ার করে চঞ্চল ও তার মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাজে মন্তব্যকারীদের হয়ে। লজ্জা প্রকাশ করেছেন।
সেইসঙ্গে তারা আইনি পদক্ষেপেরও দাবি তুলেছেন সাইবার বুলিং দমনে। প্রায় সময় অনেক তারকাই ফেসবুকে ধর্মান্ধদের রোষানলের শিকার হন। তাদের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ চেয়েছেন নেটিজেনরা।
নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু থেকে শুরু করে নানা প্রজন্মের সংস্কৃতিকর্মীরা যেমন আছেন এ তালিকায় তেমনি আছেন মন্ত্রী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অনেক রাজনীতিবিদ, পুলিশ অফিসার ও নানা পেশাজীবীরা।