ফের ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া
জাপানের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। গত ১০ দিনে এ নিয়ে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো পিয়ংইয়ং। পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করার জন্য দেশটি প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ, আল জাজিরা।
জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি শনাক্ত করেছে। জাপানের উত্তরাঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তর-পূর্ব হোক্কাইদো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
২০১৭ সালের পর এটাই প্রথম উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র যা জাপানের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই ‘বর্বর ঘটনা’র নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক ইয়োলও এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান নিজ নিজ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডেকেছেন।
জাপানের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার (২ হাজার ৪৮৫ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করেছে। চীনের উত্তর সীমান্তের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগে শনিবার (১ অক্টোবর) দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দফায় দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করায় এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করছে দেশটি।
চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছেন। তিনি মার্কিন-চালিত ইন্টারসেপ্টর এড়াতে ডিজাইন করা রকেট পরীক্ষাও করেছেন।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।