ফেনীতে ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিলানি জানান, ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরীফ উদ্দিন আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে দেওয়া চার আসামি হলেন আলাউদ্দিন, কেফায়েত উলাহ, নূর হোসেন ও শহীদুল ইসলাম। এ মামলায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়নি বলে তাদের রিমান্ড শুনানি হয়নি বলে জানান জিলানি।
গত শনিবার সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিলে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে।
নুসরাত ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে দায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর স্বজনরা তাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে পরিবারের অভিযোগ। নুসরাত ওই কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে সোমবারের রাতে পরিবর্তন আনা হয়। এতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ আটজনের নাম উলেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সাবেক ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নূর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের। এছাড়া হাতে মোজা ও চোখে চশমাসহ বোরকা পরা আরও চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে নুসরাতের বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তার পড়ার টেবিলসহ কয়েকটি স্থানে তলাশি চালিয়েছে। এ সময় তারা দুইটি চিরকুট উদ্ধার করেছেন।
কামাল বলেন, চিরকুট দুটিতে নুসরাত অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তাকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়া, এর বিনিময়ে পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, অশ্লীল আচরণ করার অভিযোগ করেন নুসরাত। এসব ঘটনার বিচারও চেয়েছেন তিনি।