ফুলবাড়ীগেট-টিবি হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা
ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধি
নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট-টিবি হাসপাতাল ব্যাস্ততম গুরুত্বপুর্ণ সড়কে এবং সড়কের পার্শ্ববর্তী জায়গা দখল করে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ ভাবে কাচা-আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল দখলদারদের বেপরোয়া দখলদারিত্বের কারণে সড়কের প্রশস্ত কমে যান চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ এবং যাতাযাতে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। দিনদিন দখল করতে করতে বর্তমানে অনেকে আবার রাস্তাও দখল করে ফেলেছে। বেশ কিছু দিন আগে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে এ সকল অবৈধ স্থাপনার দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলেছিল কিন্তু ভেঙ্গে ফেলার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আবারও পুর্বের অবস্থায় ফিরে আসে এবং নির্মাণ করে কাচা-আধাপাকা দোকান ঘর।
খুলনার মীরেরডাঙ্গার ফুলবাড়ীগেট-টিবি হাসপাতাল গুরুত্বপুর্ণ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভাগীয় সরকারী সংক্রামক ব্যাধী হাসপাতাল, বক্ষ ব্যাধি হাসপাতাল, এ্যাযাক্রা জুট মিলস, ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, ইউসেপ এম এ মজিদ বিদ্যালয় সহ টিবি হাসপাতাল ঘাট দিয়ে ভৈরব নদীর ওপারের অনেক প্রতিষ্ঠানের যাতাযাতের এক মাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার সরকারি-বেসরকারি ব্যাক্তি সহ সরকারের কর্তা ব্যাক্তিগণ যাতাযাত করেন। ফুলবাড়ীগেট বাজারের মধ্যে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে দুটি হাসপাতালের জরুরী এ্যাম্বুলেন্স সহ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের শতশত যানবাহন চলাচল করে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ফুলবাড়ীগেট-টিবি হাসপাতাল ব্যাস্ততম গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটির ফুলবাড়ীগেট শহীদ মিনারের উত্তর-পুর্ব পাশ দিয়ে শুরু করে কয়েক শত গজ সিটি কর্পোরেশনের পাকা ড্রেনের এবং সড়কের উপর এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যাক্তি দখল করে চা, হোটেল, পান দোকান, কাঠের দোকান, মোবাইল ফ্লাক্সি লোডের দোকান সহ প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় কাঠের গোলা এবং বড় বড় কাঠের গুড়ি, ইট-বালু এবং খোয়া ফেলে রাস্তা দখল করে রেখেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, মাসিক এবং দৈনিক ভাড়া হিসাবে এ সকল দোকান ঘর ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু স্বার্থান্যাশি ব্যাক্তি। তারা আরো জানান সিটি কর্পোরেশন যাতে না ভাঙ্গতে আসে সে জন্য তাদের কথা বলে অনেক সময় এ সকল দোকান থেকে অতিরিক্ত টাকা তোলা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ক্রমেই অবৈধ দখল দিনদিন বেড়ে চলেছে। অবৈধ দোকান-পাট নির্মাণ এবং স’মিলের কাঠের বড় বড় গুড়ি রেখে রাস্তা দখল করায় সড়কটি বর্তমানে যানবাহন এবং সাধারণ জনগনের চলাচলের ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং কাঠের গুড়ি রাখা বন্ধ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে অনাকাংখিত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। জরুরী রোগী পরিবহন এবং জনসাধারণের যাতায়াতের বিঘœ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা পূর্বক এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিটি কর্পোরেশন এগিয়ে আসবেন এমনটা আশা এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্টদের।