December 22, 2024
আঞ্চলিক

ফুলতলায় বিধবার জমি জোরপূর্বক ভোগদখলের অভিযোগ

দ: প্রতিবেদক

খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামে এক বিধবার জমি জোরপূর্বক ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোছাঃ রাহিলা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী বাবর আলী ৮ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে ৩ এতিম ছেলেকে নিয়ে অভাব অনটনে সংসার চালাচ্ছেন। তার শ্বশুর মরহুম জবেদ আলী শেকের ক্রয়কৃত .০৬ শতক জমি অর্থ ও পেশিশক্তির জোরে প্রতিবেশী শামছুর রহমান শেখ ভোগদখল করে আসছেন। ভুয়া রেকর্ড করে ওই জমিটি তাকে দখল করতে সাহায্য করে আসছেন স্থানীয় কবির ফারাজি নামে এক ব্যক্তি। যাকে প্রত্যক্ষ ইন্ধন যোগায় ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী।

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে একদিন সকালে আমাদের এলাকায় আসেন সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী। তার সাথে সেসময় কবির ফারাজি ও মনিরুল মোড়লসহ বেশকিছু লোক ছিল। আমাকে ডেকে এনে বলা হয়, জমি তোমার তা আমি জানি। যেহেকেু শামছুর ওটা দখল করে খায় সেহেতু তুমি ২ লক্ষ টাকা নিয়ে জমিটা শামছুরকে লিখে দাও। তা না হলে টাকাও পাবে না, জমিও হারাতে হবে। আমার জমির বাজার মূল্য ৯-১০ লাখ টাকা হওয়ায় আমি প্রস্তাব না করে দেই।’

এরপর থেকে সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পীর ছত্রছায়ায় কবির ফারাজি, শামছুর শেখ, মামুন বিশ্বাস গং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে আসছে। কোন উপায় না পেয়ে আমি এলাকার সাধারণ মানুষের দ্বারস্থ হই সাহায্যের জন্য। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া হাসান তুহিন, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবলু, ফেরদাউস হোসেন বেলু, সেলিম মোড়ল, ইখতিয়ার উদ্দিন শেখ, প্রফেসর নাসির উদ্দিন ফারাজি, দাউদ মলি­ক, উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল আলম মোড়লসহ অনেকেই এগিয়ে আসেন। তারা চেয়ারম্যান শরীফ মোঃ ভূইয়া শিপলুর সাথে কথা বলেন এবং জমির বৈধ কাগজপত্র দেখান। চেয়ারম্যান তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলেন। সংসদ সদস্য তখন বিষয়টি তাকে দেখার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে আমাকে কবির ফারাজি ও শামছুর গং হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

রাহিলা বেগম বলেন, ‘গতকাল সকালে সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পীর ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে সে লেখে আমার কাছ থেকে নাকি ইখতিয়ার শেখ ও আশরাফুল মোড়ল ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে জমি দখল করে দেবার জন্য। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’

আমি জমি পাওয়ার জন্য কারও সাথে আর্থিক লেনদেন করিনি আর আমার সামর্থ্যও নেই। ইখতিয়ার শেখ এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যক্তি, আর আশরাফুল মোড়ল আমার সন্তানতুল্য। এদের নিয়ে নোংরামির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি। একই সাথে আমাদের সকলের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই এবং আমার জমিটি ফিরে পাওয়ার জন্য সকলে সহযোগিতা কামনা করছি।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *