ফুলতলায় পাওনা টাকা আদায় ও জীবনের নিরাপত্তার দাবি সাবেক সেনা কর্মকর্তার
দ. প্রতিবেদক
সেনাবাহিনীর অনারারী ক্যাপ্টেন, মোঃ মাহবুব-উল-আলম মোল্লা (অবঃ) অভিযোগ করে বলেন, চেক ডিজঅনার মামলা ও জিডিসহ অর্ধ ডজন অভিযোগের আসামী প্রতারক মোঃ আলী হাসান ও তার কূচক্রী স্ত্রী মিসেস ইল্লিন গং এর নিকট পাওনা ৬৩ লাখ টাকা আদায় এবং তার প্রতারণা, অপপ্রচার, সন্ত্রাসী কার্যকালাপ ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে চাই। এছাড়া তিনি তার পরিবার ও নিকটাত্মীয় স্বজন নিয়ে নিরাপত্তার সাথে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে চান।
বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার ফুলতলার উপজেলার দামোদরস্থ নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার আত্মিয় ইউপি সদস্য আঃ রহমান সরদার ও হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২০১৬ ইং সালে সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহন করেন, মোঃ আলী হাসান- মিসেস ইল্লিন এর পরিবার ও আমার পরিবার খুলনার আড়ংঘাটা থানার গাইকুড়স্থ হারুন আকুঞ্জীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে একত্রে বসবাস শুরু করি। তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের ঠিকাদারি ব্যবসা ও ডেয়ারি ফার্মের প্রয়োজনে বিভিন্ন অংকের টাকা ধার নেয়। গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে উভয়পক্ষ একত্রে বসে লেনদেনের হিসাবে তাদের কাছে আমার ৬৩ লাখ টাকা পাওনা থাকায় তিনটি চেক দেয়। নির্দিষ্ট তারিখে সংশ্লিষ্ট বাংকে চেক জমা প্রদান করলে তাদের হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো ডিজঅনার হলে, বিধি মেনে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা থেকে জামিনে এসে আসামিদ্বয় বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং- ১০৪৭) ও আড়ংঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-১০৩৩) এন্টি করি।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এদিকে গত ০৯/১০/২০২০ তারিখ সাড়ে ৬টার দিকে আড়ংঘাটা থানাধীন বাইপাস রেল ক্রসিং এলাকায় আমি হাটাহাটি করার সময়। আলী হাসানের নেতৃত্বে ৩টি মোটরসাইকেলযোগে মুখোশধারী অজ্ঞাত ৫/৬ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত আমার পথ গতিরোধ করে গালিগালাজ এবং মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। অন্যথায় আমি বা আমার পরিবার ও আমার নিকটতম আত্মীয়স্বজনকে হত্যা, গাড়ীচাপা দেওয়া বা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এমনকি আমাদের বসতবাড়ী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ কোন দ্রবাদি রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি লিখিত অভিযোগ করি। ১১ অক্টোবর র্যাবের ফোন পেয়ে অফিসে গিয়ে জানতে পারি পূর্বের রাতে আমার অভিযোগের ভিত্তিতে আলী হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব কার্যালয়ে আনা হয় এবং অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে তার আত্মীয় মোশারফের মাধ্যমে মুচলেকা দিয়ে আসে।
অপরদিকে গত ১৫ অক্টোবর খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কূচক্রী আলী হাসান গং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য গত ১০ অক্টোবর দিবাগত রাতে তাকে অপহারণ করা হয়েছে এমন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক কল্প কাহিনী রচনা করে আমি ও আমার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে। এ মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ