November 26, 2024
খেলাধুলা

ফুটবলার জনির চিকিৎসায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিল ফিফা

জাতীয় দলের ফুটবলার মাসুক মিয়া জনির পায়ের চিকিৎসার জন্য ফিফা সর্বশেষ কিস্তিতে ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা দিয়েছে। সবমিলিয়ে তিন কিস্তিতে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পেলেন বসুন্ধরা কিংসের এ মিডফিল্ডার।

গত ফেব্রুয়ারিতে জনিকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। এপ্রিলে দ্বিতীয় কিস্তিতে দিয়েছিল আরও ৪ লাখ টাকা। সর্বশেষ কিস্তির টাকাটা গতকাল (সোমবার) জনির ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।

মাসুক মিয়া জনির পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়েছিল গত বছর আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ক্যাম্পে চলাকালীন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় সতীর্থ বিশ্বনাথ ঘোষের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে চোট পান তিনি।

কোচ জেমি ডে জনিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাজিকিস্তান নিয়ে গেলেও খেলতে পারেননি বসুন্ধরা কিংসের এ মিডফিল্ডার। দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার পায়ের অপারেশন করা হয়।

জাতীয় দলের ম্যাচে কিংবা ক্যাম্পে থাকাকালীন কোনো ফুটবলার ইনজুরিতে পড়লে ফিফা সহায়তা দিয়ে থাকে। বাফুফে চিকিৎসা সহায়তার উদ্যোগ নেয়ার পর এই টাকা অনুদান দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। ইনজুরির পর থেকে ১৭৫ দিনের জন্য মোট ১৩৮৮৫ ইউরো দিয়েছে ফিফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

চিকিৎসার জন্য ফিফার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা পাওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাসুক মিয়া জনি। সিলেটের শ্রীমঙ্গলের বাড়ি থেকে জাগো নিউজকে তিনি বলেছেন, ‘বাফুফের উদ্যোগ আর বসুন্ধরা কিংসের সহযোগিতায় এ অর্থ পেয়েছি। এখন আমার লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফেরা।’

পায়ের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো উল্লেখ করে জনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত ব্যয়াম করছি। মাঠে একা বল নিয়েও অনুশীলন করছি। তবে সবার সঙ্গে অনুশীলন করলে বোঝা যাবে। আগামী মাসে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। আমাকে ডাকলে অনুশীলন শুরুর আগে আরেকটা এমআরআই করে যেতে হবে। ৮ অক্টোবর আমার ঘরের মাঠ সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। আমি ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে আছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *