ফিরোজ রশীদের বাসায় পুত্রবধূ গুলিবিদ্ধ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বড় ছেলে কাজী শোয়েব রশীদের স্ত্রী মেরিনা শোয়েব গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফিরোজ রশীদের ধানমণ্ডির বাসাতেই গুলির ঘটনা ঘটে। পরে মেরিনাকে পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেরিনার বাবা সাংবাদিকদের বলেছেন, তার মেয়ে আর জামাইয়ের মধ্যে ‘বনিবনা’ ছিল না। অন্যদিকে মেরিনার মেয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ বলেছে, এটা ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’।
আর ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের ছেলে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী শোয়েব রশিদ দাবি করেছেন, মেরিনার সঙ্গে আগেই তার ‘তালাক’ হয়ে গেছে। শুধু সন্তানদের কারণে এখনও সে এ বাসায় থাকে। সে এখন আউট অফ ডেঞ্জার। তার জন্য দোয়া করবেন।
মেরিনা ও শোয়েবের দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ের বয়স ২০ বছর, আর ছেলের বয়স ১০ বছর। তারা দুজন ছাড়াও ফিরোজ রশিদের স্ত্রী ও তার এক ভাই ঘটনার সময় ধানমণ্ডির ওই বাসার চার তলার ফ্ল্যাটে ছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আব্দুলাহেল কাফি বলেন, মেয়ে আমাদের বলেছেন, ঘটনার সময় তার বাবা বাসায় ছিলেন না। তাদের বক্তব্য হল, তাদের মা তার বাবার কক্ষে গিয়ে তার পিস্তল নিয়ে নিজেই গুলি করেছেন। পিস্তলটি আমরা জব্দ করেছি।
মেরিনার বাবা সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারি পুলিশের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে হাসপাতালে তিনি একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, ঘটনা হইছে মেয়ের সাথে তার হাজবেন্ডের বনিবনা হয় না। পারিবারিকভাবে বোঝেন না একটু উচ্ছৃঙ্খলভাবে হয়ত হাজবেন্ড চলে, হেও চলে, এর মধ্যে তাদের মধ্যে বনাবনতি নাই, এইরকমও হইতে পারে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মেরিনা ওই বাসায় থাকলেও আলাদা ঘরে মেয়ের সঙ্গে ঘুমাতেন। প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খেতে হত তাকে।
ল্যাবএইড হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান লেনিন জানান, আহত মেরিনাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।