ফিঞ্চ হতাশ, আছে গর্বও
ক্রীড়া ডেস্ক
অনেক দলের জন্যই সেমি-ফাইনালে ওঠা মোটামুটি ভালো ফল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া? বিশ্বকাপে শিরোপা জয় ছাড়া যে কোনো কিছুই যেন তাদের জন্য ব্যর্থতা। সেমি-ফাইনালে হেরে গিয়ে তাই হতাশ অ্যারন ফিঞ্চ। তবে কয়েক মাস আগেও যে অগোছালো অবস্থায় ছিল দল, সেদিক থেকে সতীর্থদের নিয়ে গর্বও আছে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের।
বিশ্ব ক্রিকেটে দলীয় রেকর্ডের অনেকগুলোরই চূড়ায় অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপেও সাফল্যে তাদের ধারে কাছে নেই কোনো দল। শিরোপা জিতেছে তারা পাঁচবার। এবারও তারা খেলতে এসেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। তবে শিরোপা এবার তারা ধরে রাখতে পারছে না। সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার হেরে গেছে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ইংল্যান্ডের কাছে।
এই হারে শুধু বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়েনি তারা, একটি গর্বের রেকর্ডও শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বকাপে আটবার সেমি-ফাইনাল খেলে হারের স্বাদ পেল তারা এই প্রথম। ম্যাচ শেষে তাই হতাশা লুকালেন না অধিনায়ক ফিঞ্চ।
খুবই হতাশ (ফাইনালে উঠতে না পারায়)। আমরা এখানে এসেছিলাম জয়ের আশায়। আমাদের মনে হয়েছে, টুর্নামেন্টের আগে আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। টুর্নামেন্ট জুড়েও খুব ভালো মোমেন্টাম গড়তে পেরেছি আমরা। সবার অনুভূতি ভালো ছিল। ট্রেনিং ভালো করেছি। ম্যাচের মাঝে বিরতি নেওয়ায় সবাই তরতাজা ছিল। হেরে গিয়ে তাই আমরা অবশ্যই ভীষণ হতাশ।
তবে হতাশাতেই শেষ নয় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযানের পুরো চিত্র। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও বল টেম্পারিং বিতর্কে গত বছর টালমাটাল ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সেই সময়ের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। প্রবল বিতর্কে নড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভিত। বদলে গিয়েছে দলের খোলনলচে। ফিঞ্চের নেতৃত্ব পাওয়া সেটিরই পথ ধরে এসেছে। সব মিলিয়ে যে নাজুক অবস্থায় ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট, সেটি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত ফিঞ্চ।
“১২ মাস আগেও আমরা যেখানে ছিলাম, সেদিক থেকে বলতে গেলে আমরা অনেক অগ্রসর হয়েছি। এতদূর পাড়ি দিতে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, কাজ করেছে, পরিশ্রম করেছে, তাদের সবাইকে নিয়ে আমি গর্বিত।
অবশ্যই আমরা আজকে সেমি-ফাইনাল জিততে এসেছিলাম। চেয়েছিলাম বিশ্বকাপ জয়ের মতো অবস্থায় যেতে। এভাবে শেষ হওয়াটা তাই হতাশার। সবচেয়ে বাজে দিনটি আজকেই এলো। তবে যেখান থেকে আমরা উঠে এসেছি এবং ছেলেদের অনেকে গত ১২ মাসে যতটা উন্নতি করেছে, তাতে আমি ওদের নিয়ে গর্বিত।