ফালু, ইকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালু এবং এস এ কে ইকরামুজ্জামানসহ চার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, সোমবার ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
ফালু ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- আরএকে পেইন্টস লিমিটেডের পরিচালক বিএনপি নেতা এস এ কে ইকরামুজ্জামান, স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান ও স্টার সিমাকসের পরিচালক এবং আরএকে কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মো. আমির হোসাইন। দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা দায়ের করেন বলে জানান প্রনব।
দুদক বলছে, মোসাদ্দেক আলী ফালু, একরামুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান, আমির হোসাইন ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ত্রি স্টার লিমিটেড, ডেভেলমেন্ট ইইউই নামে অফশোর কোম্পানি খোলেন এবং বাংলাদেশে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে’ অর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ওই অর্থ উর্পাজনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ওই অর্থ কীভাবে উর্পাজন করা হয়েছে তার কোনো তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনও জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতি নেননি।
প্রকৃতপক্ষে, মোসাদ্দেক আলী ফালু বাংলাদেশে ক্ষমতার থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে অর্জিত অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করে অফসোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। সে সময় ঢাকার একটি উপনির্বাচনে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
পরে খালেদা জিয়া তাকে বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে আসেন। ২০১৬ সালে বিএনপির নতুন কমিটিতে ফালুকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান করা হলে তিনি পদত্যাগ করেন।
এরপর থেকে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় ফালু নিজের ব্যবসা নিয়েই আছেন। সিকিউরিটিজ, আবাসন, অ্যাগ্রো, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত এই ব্যবসায়ী এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক । তার বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকটি মামলা করেছে দুদক।