December 21, 2024
খেলাধুলা

ফাইনাল শেষের ধাক্কাধাক্কিতে ৫ ক্রিকেটারের শাস্তি

ক্রীড়া ডেস্ক

যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় বেশ বড় শাস্তি জুটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারের। ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রæয় শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রকিবুল হাসান এবং ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণুর নামে বরাদ্দ করেছেন বিভিন্ন মাত্রার সাসপেনশন পয়েন্ট। এর ফলে আগামী বেশ কিছু ম্যাচ তারা খেলতে পারবেন না।

পচেফস্ট্রুমে শুক্রবারের ফাইনালে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ। ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই ছিল উত্তেজনা। কখনও কখনও তা মাত্রা ছাড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের।

কিন্তু ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসের মধ্যে সেই উত্তেজনা আর বেঁধে রাখা যায়নি। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের কয়েকজন। এর শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হৃদয় ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যা ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শামীম পেয়েছেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট এটিও ছয় ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। আর বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল পেয়েছেন চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।

ভারতীয় পেসার আকাশ পেয়েছেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট যা ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। লেগ স্পিনার বিষ্ণুই পেয়েছেন ৫ সাসপেনশন পয়েন্ট যা পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।

এক সাসপেনশন পয়েন্ট মানে হল ওই খেলোয়াড় একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্ট বা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে ‘এ’ দলের ম্যাচও এর আওতায় থাকবে।

পাঁচ ক্রিকেটারের এই শাস্তি আসন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে কার্যকর হবে। সেটা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে হতে পারে কিংবা সিনিয়র ক্রিকেটেও হতে পারে। পাঁচ ক্রিকেটারই দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নিয়েছেন। তাদের নামের পাশে এই ডিমেরিট পয়েন্টগুলো থাকবে পরবর্তী দুই বছর।

এই ঘটনার বাইরে আরেকটি আরচরণবিধি ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন বিষ্ণু। বাংলাদেশ ইনিংসের ২৩তম ওভারে অলরাউন্ডার অভিষেক দাস আউট হলে তার উদযাপন ছিল মাত্রাছাড়া। সে ঘটনায় পেয়েছেন আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সব মিলিয়ে তার ডিমেরিট পয়েন্ট হলো ৭।

তীব্রæ লড়াইয়ের ম্যাচ শেষে দুই দলের কয়েকজন খেলোয়াড় যা করেছে তা মেনে নিতে পারছেন না জিওফ অ্যালারডাইস। পরিস্থিতি আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ আনার মতো পর্যায়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আইসিসির এই মহাব্যবস্থাপক। খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটের চিরন্তন চেতনার কথা।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *