ফকিরহাট গ্রাম আদালত সক্রীয়করণ কর্মসূচীর কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে পঞ্চায়েত নামে যে সংস্থা প্রচলিত ছিল। তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল স্থানীয় বিচার কার্য সম্পাদন ও ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা করা। কিন্তু বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রæত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত এর কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। আমাদের মোট জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ গ্রামে ববসাস করে। এ জনগোষ্ঠীর একটি ব্যাপক অংশ দরিদ্র, অনেকই আধুনিক বিচার ব্যবস্থা সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল নয়।
সবচেয়ে বড় কথা, এ দরিদ্র জনসাধারনের পক্ষে শহরে গিয়ে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চালানো অত্যাস্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল ব্যাপার। সুতরাং গ্রাম পর্যায়ে যদি ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকে, তাহলে তারা অনেক বিড়ম্বনা ও খরচের হাত থেকে রক্ষা পায় । দ্রæত বিচার কার্যের ফলে ঝগড়া বিবাদের তীব্রতা ও ব্যাপকতা বহুলাংশে কমে যায় এবং গ্রামীন সমাজে শান্তিপূর্র্ন পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে । বর্তমানে বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যেহেতু এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের দ্বারা আসল ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য।
মুলঘর ইউনিয়ন গ্রাম আদালত সহকারি নারায়ন হালদার জানান, অত্র ইউনিয়নে জুলাই-২০১৭ইং থেকে ডিসেম্বর-২০১৮ইং মোট মামলা-৫৩টি, নিস্পত্তি-৩২টি, বাস্তবায়ন-২৭টি, বাস্তবায়ন হয়নি-৫টি, খারিজ ১৮টিফেরত-৩টি। এছাড়াও জুলাই-২০১৭ইং হতে জানুয়ারী-২০১৯, ১নং ওয়ার্ড ১১টি, ২নং ওয়ার্ড-০১, ৩নং ওয়ার্ড-৪টি, ৪নং ওয়ার্ড-৭টি, ৫নং ওয়ার্ড-২টি, ৬নং ওয়ার্ড-১১টি, ৭নং ওয়ার্ড-৫টি, ৮নং ওয়ার্ড-৫টি ও ৯নং ওয়ার্ড-১০টি মামলা। বিষয়টি গ্রাম আদালত উপজেলা সমন্বয়কারি মোসাঃ মাজেদা খাতুন নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীনের ঐকান্তিক চেষ্টা ও জনপ্রতিনিধিনের সহযোগিতায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডঃ হিটলার গোলদার গ্রাম আদালত এর কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেণ বলে তিনি জানান।