ফকিরহাটে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৮, আহত ২৫
দ. প্রতিবেদক
বাগেরহাটের ফকিরহাটে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৫ জন। গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের কাকডাঙ্গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মরদেহগুলো ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কাটাখালি হাইওয়ে থানায় রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন ঘটনাস্থলে এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৩ জন মারা যান। আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের কাকডাঙ্গা নামক স্থানে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস রাজীব পরিবহন ও গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রডবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বাসের সামনের গ্লাস ও জালনার গ্লাসসহ ডান পাশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রাকটিরও সামনের দিকে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ট্রাক ও বাসটি সড়কের উপর থাকায় মহাড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কাটাখালি হাইওয়ে থানা এবং ফকিরহাট থানা পুলিশ ঘণ্টা খানেক চেষ্টা করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ খায়রুল আনাম জানান, যাত্রী বাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচ যাত্রী নিহত হন। আহত হন বাসের বাকি যাত্রীরা। আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যদের চেষ্টায় দু’ঘন্টা পরে দূর্ঘটনা কবলিত যান দুটি সরিয়ে নিলে বিকেল ৬টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।