প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ‘চাপে’ আছেন, জানালেন হিলারি
আগামী বছর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে তার ওপর ‘প্রচণ্ড চাপ’ আছে বলে জানিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন
যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি। তারপরও আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এ ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
“অংশ নেবো না এমনটা কখনোই বলিনি,” এক সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে বলেছেন তিনি।
২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারাতে পারলে কেমন প্রেসিডেন্ট হতেন, এখন ‘সারাক্ষণই তাই ভাবেন’ বলে জানান ৭২ বছর বয়সী এ নারী।
মেয়ে চেলসি ক্লিনটনের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা ‘দ্য বুক অব গাটসি উইমেন’ বইয়ের প্রচারে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন হিলারি। সেখানে বিবিসি রেডিও ফাইভের লাইভ অনুষ্ঠানে এমা বারনেটের সঙ্গে কথোপকথনে হিলারিকে আগামী বছরের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়।
তার উত্তরে তিনি বলেন, “আমি কেমন প্রেসিডেন্ট হতাম এবং আলাদা কী করতাম, যা আমার দেশ ও বিশ্বের কাছে গুরুত্ববহ হতো, সারাক্ষণই এসব ভাবি। অবশ্যই আমি এ বিষয়টি নিয়ে ভাবি, সারাক্ষণই ভাবি। যে-ই আগামীবার জিতুক না কেন, তাকে ভেঙে যাওয়া সবকিছু জোড়া লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।”
একেবারে শেষ মুহুর্তে নির্বাচনী দৌঁড়ে নেমে পড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নিউ ইয়র্কের সাবেক এ সিনেটর বলেছেন, “আমি, যেমনটা বলছি, কখনোই দাঁড়াবো না এমনটা কখনো বলিনি।”
“আমি আপনাকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে চাই, বহু মানুষ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে আমাকে অনেক চাপ দিচ্ছে। কিন্তু, এই মুহুর্তের মতোই, এই যে স্টুডিওতে আপনার সঙ্গে কথা বলার বিষয়টিও মোটেও আমার পরিকল্পনায় ছিল না,” বলেছেন তিনি।
তৃতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে অংশ নিতে কারা কারা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে সাবেক এ ফার্স্ট লেডি তা খোলাসা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নির্বাচনের বছরখানেক বাকি থাকলেও ডেমোক্রেটরা মোটা দাগে এখনও ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী কাউকে হাজির করতে পারেনি।
আগামী বছরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, হিলারির গতবারের প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সসহ ১৭ জন এখন মনোনয়ন দৌঁড়ে আছেন।
ফেব্রুয়ারিতে আইওয়া অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি দিয়ে ডেমোক্রেট মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আনুষ্ঠানিক লড়াই শুরু হবে।
হোয়াইট হাউসের দৌড়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী হতে চাওয়াদের মধ্যে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনমত জরিপে খানিকটা এগিয়ে থাকলেও নিউ ইয়র্কের ধনকুবের মাইকেল ব্লুমবার্গ প্রার্থীতা ঘোষণা করায় বাইডেনের ওপর চাপ বেড়েছে।
সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে জনপ্রিয়তা বিবেচনায় আরেক ডেমোক্রেট মনোনয়ন প্রত্যাশী এলিজাবেথ ওয়ারেনকেও বাইডেনের কাছাকাছিই দেখা যাচ্ছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ম্যাসাচুসেটসের সাবেক গভর্নর দেভল প্যাট্রিকও নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে।
আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও আলাবামাসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারির ব্যালটে নাম দেয়ার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন কেউ ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে নামতে চাইলেও তার মূল্যায়ন কীভাবে হবে, তা স্পষ্ট নয়।