প্রায় আড়াই হাজার বর্গকিলোমিটার পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় আড়াই হাজার বর্গকিলোমিটার (৯৬৫ বর্গমাইল) এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। গত মাসের শেষের দিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। তারপর থেকেই বেশ কিছু এলাকা মস্কোর কাছ থেকে দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়। খবর এএফপির।
জেলেনস্কি বলেন, চলতি সপ্তাহে আমাদের সৈন্যরা দেশের পূর্বাঞ্চলের ৭৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা এবং ২৯টি জনবসতি মুক্ত করেছে। এর মধ্যে ছয়টিই লুহানস্ক অঞ্চলে।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৪৩৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা এবং ৯৬ জনবসতি মুক্ত করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
এর আগে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন যে, রুশ বাহিনীর হাত থেকে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। প্রথমবার পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে এসব এলাকা দখল করা হয়। অপরদিকে শুক্রবার সকালে রুশ বাহিনী জানায় যে, তারা পূর্বাঞ্চলীয় দনেৎস্ক অঞ্চল দখল করেছে।
এদিকে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলীয় লিম্যান শহরে আরও একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে ওই গণকবর থেকে কতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। আঞ্চলিক গভর্নর প্যাভলো কিরিলেনকো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক প্রদেশের গভর্নর কিরিলেনকো এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, লিম্যানের কর্মকর্তারা একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই গণকবরে সেনা সদস্য এবং বেসামরিকদের মরদেহ থাকতে পারে। তবে মরদেহের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে পৃথক একটি প্রতিবেদনে ইউক্রিনফর্ম নিউজ এজেন্সি এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওই গণকবর থেকে ১৮০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিয়েভ পোস্টও এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে যে, লিম্যান শহরে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ১৮০টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে অল্প বয়সী শিশুদের মরদেহও রয়েছে।
গত সপ্তাহে দনেৎস্ক প্রদেশের লিম্যান শহরটি রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। অধিকৃত অঞ্চলে নৃশংসতার জন্য ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বার বার রুশ সৈন্যদের অভিযুক্ত করে আসছে। যদিও এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।