প্রার্থী নিজেই প্রতিপক্ষের অফিসে লাথি মেরেছেন : ওবায়দুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ভিডিও ফুটেজে যা কিছু আছে তাতে প্রমাণ হয় না যে, আওয়ামী লীগের সমর্থকরা আগে হামলা করেছে। ভিডিও ফুটেজে যা আছে তাতে দেখা যায় বিএনপি প্রার্থী নিজেই প্রতিপক্ষের অফিসে লাথি মেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, নির্বাচন হওয়ার পথে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না। ইসির উচিত সঠিক তদন্ত করে সত্য উৎঘাটন করা। গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, আমি মনে করি না, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা সংঘাত হয়নি। একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। ভিডিও ফুটেজে যেটা পাওয়া গেছে গুলিটা কোনো পক্ষ থেকে আসছে, তারপর অফিসে লাথি মারা এটিও ফুটেজে আছে। প্রতিপক্ষের অফিসে প্রার্থী নিজেই লাথি মেরেছে। সেটাও কিন্তু ফুটেজে আছে।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা কথা বলবো। আপাতো দৃষ্টিতে মনে হবে প্রত্যেকেই নিজের পক্ষে কথা বলছে। বিএনপি তাদের কথা বলছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের উনারা (বিএনপি) বুঝাতে চাইছেন যে, আক্রমনটা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ভিডিও ফুটেজে যা কিছু আছে তাকে কিন্তু সেটা মনে হয় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে নির্বাচন কমিশনের উচিত সঠিব তদন্ত করে সত্য উৎঘাটন করা। সত্য উৎঘাটন করে অপরাধ যারই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিতে পারে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু সময় পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সংঘর্ষের মধ্যে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হয়েছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিএনপির সুরে সুর মেলাচ্ছেন। ভিন্নমত থাকতেই পারে, তবে ইসি মাহবুব তালুকদার কথায়-কথায় ঘরের খবর বাইরে প্রকাশ করে বিএনপির সুরে সুর মেলাচ্ছেন।
ইসিকে আরও কঠোর হওয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের বর্তমান উৎসব মুখর পরিবেশে অব্যাহত রাখতে নির্বাচন কমিশনকেই উদ্যোগ নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এখন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। যারা পরিবেশ নষ্ট করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কমিশনই ব্যবস্থা নিতে পারেন। শেষ সময়ে আমরা কোনো প্রার্থীকে আটক বা হয়রানি করতে নির্দেশ দিচ্ছি না বলেও জানান মন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার মামলা সৎ সাহসের পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে হেগের আদালতের অন্তবর্তী আদেশ মিয়ানমার মানবে কতটুকু তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।