প্রাকৃতিক পাঁচ অ্যান্টিবায়োটিক
শারীরিক বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে আন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আন্টিবায়োটিকের প্রধান কাজ হল শরীরের অভ্যন্তরীণ ব্যাকটরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে ইনফেকশন দূর করা। শরীর হরহামেশাই নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক। তাই অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে জানেন কি? অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়েও আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। ভাবছেন কীভাবে? প্রাকৃতিক কিছু উপাদান আছে যা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। জেনে নিন আপনার প্রাকৃতিক পথ্য-
রসুন
অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল সমৃদ্ধ রসুনকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সাল প্রকাশিত এক জার্নালে বলা হয়, রসুনের অ্যালিসিন নামক উপাদান প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন নাস্তা খাওয়ার আগে খালি পেটে ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া রসুনের সাপ্লিমেন্টারিও খেতে পারেন। তবে তা গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
হলুদ
আয়ুর্বেদিক এবং চীনা ঔষুধ অনুসারে হলুদের অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি ক্ষতস্থান সারাতে হলুদ বেশ কার্যকরী। ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ৫-৬ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এটি এয়ারটাইট জারে সংরক্ষণ করুন। দিনে দু’বার আধা চা চামচ করে এটি গ্রহণ করুন।
বিশুদ্ধ মধু
বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষুধ তৈরিতে মধু ব্যবহার করা হয়। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান অনেকগুলো ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এমনকি মধু ব্যাকটেরিয়ার বিকাশ প্রতিরোধ করে থাকে।
আদা
আদাতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে যা অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করে থাকে। চায়ের সঙ্গে আদা দিয়ে আদা চা তৈরি করে করে নিতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিনকার রান্নায় আদা কুচি মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।
নিম
সহজলভ্য আরেকটি অ্যান্টিবায়োটিক হল নিম। যা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে থাকে। এর অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ব্রণ, ত্বকের ইনফেকশন দূর করে থাকে। শুধু তাই নয় এটি মুখের এবং দাঁতের নানা সমস্যাও দূর করতে বেশ কার্যকর।