প্রস্তাবিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ
দ: প্রতিবেদক
আজ মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। দুপুর ১টায় খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার (প্রথম ফেজ) ২০০ নং বাড়ি, রোড নং-১২ এ খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমানও উপস্থিত থাকবেন। গতকাল সোমবার রাতে জেলা প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। এর ৪ বছর পর ২০১৫ সালের ৫ জুলাই সংসদে ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয় বিল’ পাস হয়। তারপরও তিন বছর কেটে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পদক্ষেপ আর এগোয়নি। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমানকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে খুলনাবাসী।
খুলনা জেলা সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ২০১১ সালের ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের জন্য তৎকালীন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি মহানগরীর দৌলতপুর কৃষি স¤প্রসারণ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অব্যবহৃত ৫০ একর জমিসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন ১২ একর জমি নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে কৃষি স¤প্রসারণ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের জায়গায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রস্তাব অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর জমির ম্যাপ, দাগ-খতিয়ানসহ অন্যান্য তথ্য উপাত্ত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নূর মোহাম্মদ মোলা খুলনা জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। তখন অধিগ্রহণের আওতায় থাকা ৬২ একর জমির দাম ছিল ৪০ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প প্রণয়নে মন্ত্রণালয় থেকে আইন তৈরিতে জোর দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই সংসদে ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৫’ পাস হয়। এরপর ফের জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় প্রাক্কলন পাঠানোর জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় ইউজিসি। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্র“য়ারি আড়ংঘাটা মৌজার ৬২ একর জমির প্রাক্কলন ব্যয় ইউজিসিতে পাঠানো হয়। এতে অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয় ১৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।