প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, নির্বাচন সফল: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্থানীয় প্রশাসন ভোটগ্রহণ চালু রেখেছে। অল্প কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা, দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তবে সার্বিক অর্থে নির্বাচন সফল হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সূচনা বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিক অর্থে নির্বাচন সফল হয়েছে। অল্প বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো কিছুতেই কাম্য নয়। তবুও নির্বাচনের মানদণ্ড যদি ভোট প্রদান হয়, তাহলে আমি বলবো গত নির্বাচনগুলো গড়ে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। ’
সিইসি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে তাতে আমরা দাবি করি যে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে, অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। যার কারণে ৭০ শতাংশ লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করে, উত্তাপ বিরাজ করে। সেই উত্তেজনা ও উত্তাপ কখনো কখনো সহিংসতায় পরিণত হয়ে যায়। যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। ’
কেএম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি মাঠপর্যায়ে যারা নির্বাচনী দায়িত্বপালন করেছেন। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য। যেখানে নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল সেসব জায়গার নির্বাচন স্থগিত করেছেন। এভাবে গত ধাপে প্রায় সাড়ে আট হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ থেকে ১৮টি নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়নি। তার মানে আমরা দেখেছি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে কোথাও কোথাও মারামারি হয়েছে, খুন জখম হয়েছে। তারপরেও স্থানীয় প্রশাসন পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন চালু রেখেছে এবং সেই নির্বাচনে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। ’
সিইসি বলেন, ‘আমরা করোনার প্রভাবের কারণে নির্বাচন নিয়ে একটু কষ্টের মধ্যে আছি বলা চলে। কারণ স্বাভাবিক সময়ে হয়তো তিনশো, সাড়ে তিনশো এর বেশি নির্বাচন করার প্রয়োজন হতো না। মূলত ২০২০ সালের মার্চ থেকেই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনগুলো ডিউ হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা নির্বাচনগুলো শুরু করেছিলাম। কিন্তু করোনা প্রভাবে কারণে সবগুলো নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারিনি। ’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নিয়েছেন।