November 25, 2024
জাতীয়

‘প্রবাসীরা বোঝা হয়ে গেছে, কেউ মূল্যায়ন করে না’

‘আমরা প্রবাসীরা কি সরকারের বোঝা হয়ে গেলাম? কেউ মূল্যায়ন করে না। আমরা তো বিদেশে কষ্ট করে টাকা-পয়সা রোজগার করে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোনের জন্য পাঠাই। লকডাউনের কারণে ফ্লাইটে সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বুঝিয়ে বলার মতো কেউ কি নাই? আগামীকাকের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা, টিকিট কনফার্ম হলে করোনা টেষ্ট করাবো। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো সমাধানই পেলাম না।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলের প্রবেশদ্বারের বাইরে ফুটপাতে বসে আক্ষেপের সুরে এভাবেই কথা বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার খাগাতুয়া গ্রামের প্রবাসী কর্মী তাকবির হোসেন। ছুটিতে দেশে ফিরেছেন দুমাস আগে। ছুটি শেষে আবার ফিরবেন প্রবাসে।

আজ ছোট ভাই রফিক হোসেনের সঙ্গে এসেছেন। তিনিও দীর্ঘদিন প্রবাসী। আগামীকাল (১৮ এপ্রিল)- এর ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত জানেন না টিকিট কনফার্ম কি না। টিকিট কনফার্ম হলে তবেই বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে জরুরি ভিত্তিতে করোনা টেষ্ট করিয়ে সনদ নেবেন। তার ভাইয়ের ভিসার মেয়াদও আছে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ছোট ভাইকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানালেন।

শুধু তাকবির হোসেন একা নন, তার মতো আরও অনেকেই সোনারগাঁও হোটেলের প্রবেশপথের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের কয়েকজনকে বড় লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তাদের কারও কয়েকদিন আগে ফ্লাইট ছিল, লকডাউনের কারণে বাতিল হয়েছে, কারও আজ রাতেই ফ্লাইট।

মনির হোসেন নামে একজন সৌদি প্রবাসীর ভাই জামাল হোসেন দুটি লাগেজ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানালেন, আজ (শনিবার) রাত ১২টায় তার ভাইয়ের ফ্লাইট জেনে এসেছেন। এখনও টিকিট কনফার্ম হয়নি। নির্ধারিত সময়ে যাওয়ার জন্য করোনা টেষ্ট করে সনদ নিয়েছেন। বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে এসেছেন। কিন্তু জানেন না তার ভাই যেতে পারবে কি না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করেছেন সৌদি প্রবাসী কর্মীরা। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাবিতে অবরোধ করেন তারা।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। এতে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

সৌদি প্রবাসীদের অভিযোগ, তারা লকডাউনের আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। কিন্তু এখন লকডাউনের কারণে নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারছেন না। এর মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

এদিকে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম তৌহিদুল ইসলাম সকালে জানান, ল্যান্ডিং অনুমতি না পাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটিসহ মোট সাতটি ফ্লাইট বাতিল হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *