প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাচ্ছেন খুলনার ৫০ হাজার নেতাকর্মী
যশোরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) খুলনা থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী যাবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। বাস-ট্রেন এবং ব্যক্তিগত যানবাহনে করে নেতারা সভাস্থলে যাবেন বলে দলটির সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
এদিকে, খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উজ্জীবিত খুলনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর যশোরে আগমনের বার্তায় শুধু যশোর নয়, গোটা খুলনাঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েক লাখ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। এরই অংশ হিসেবে এ জনসভায় খুলনা থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার এবং বাকি নেতাকর্মীরা খুলনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় পাঁচ লাখ মানুষ সমাগমের টার্গেট করেছে। আর এ গণমানুষের সিংহভাগ আসবে শহরের বাইরে থেকে। যশোরের আটটি উপজেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে আসবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী-সমর্থকরা। এর জন্য প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি যশোরে আসার টার্গেট করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ‘খুলনা মহানগর থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নেবেন। তবে যাতায়াতের জন্য আলাদা করে কোনো পরিবহন নির্দিষ্ট করা হয়নি। সাধারণত বাস-ট্রেন এবং ব্যক্তিগত যানবাহনে নেতাকর্মীরা জনসভায় অংশ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই খুলনা থেকে তারা রওনা করবেন। ’
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, ‘খুলনা থেকে অর্ধলাখ নেতাকর্মী যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জনসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে খুলনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। যশোরে মানুষের ঢল নামবে বলেও আমি আশাবাদী।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর ঈদগাহ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর এ জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন।