প্রথিতযশা সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর ইন্তেকাল : জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
খুলনার সাংবাদিক অঙ্গনে শোকের ছায়া
দ. প্রতিবেদক
খুলনা প্রেসক্লাব ও অবিভক্ত খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, খুলনার সাংবাদিকদের গুরু বলে খ্যাত প্রথিতযশা সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন আহমেদ বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি …. রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে চিরকুমার ছিলেন। গতকাল শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর বসুন্ধরা সেন্ট্রাল জামে মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে বনানি কবরস্থানে দাফন করা হয়
ষাটের দশকে সাহাবুদ্দিন আহমেদ তার পিতার ডাক্তারি পেশার সুবাদে খুলনায় আসেন। তার পিতার নাম মৃত ডাক্তার সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথমে শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে সাংবাদিকতা পেশাকে মূল পেশা হিসেবে নির্ধারণ করেন। তার বাড়ি ঢাকার সাভার গেন্ডা। তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের চারবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং খুলনা প্রেসক্লাব গঠনে ও উন্নয়নে আন্তরিক ভূমিকা পালন করেন। ২০১১ সালে খুলনা প্রেসক্লাব তাঁকে ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ প্রদান করে। খুলনার পেশাজীবী সাংবাদিকদের সাথে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। এছাড়া খুলনার প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অপরিসীম। তিনি একজন নিরহংকার সদালাপী মানুষ ছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি সাংবাদিকতায় রেখে গেছেন অনুকরণীয় মৃত্যুষ্টান্ত। তার কর্মময় জীবনে পাকিস্তান আমলে ডন পত্রিকা, ইংরেজি দৈনিক দ্য ওয়েব, বাংলাদেশ টাইমস, দ্য হলি ডে, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এবং সর্বশেষ ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় কাজ করেছেন। খুলনায় তার বর্ণাঢ্য পেশা জীবন শেষ করে তিনি ঢাকায় তার পরিবারের কাছে চলে যান। সম্প্রতি সময়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
খুবি উপাচার্য : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রবীণ সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অনুরূপভাবে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান।
খুলনা প্রেস ক্লাব : প্রবীণ সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লাসহ নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
কেইউজে : তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। বিবৃতিদাতারা হলেন কেইউজে’র সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্রনাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মোঃ সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য এস এম ফরিদ রানা।
নগর বিএনপি : বিবৃতিদাতারা হলেন নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
জেলা বিএনপি : সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। শোক বিজ্ঞপ্তিতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও মরহুমের মাগফেরাত কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দৃ। বিবৃতিদাতারা হলেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এসএম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ গাজী আবদুল হক, গাজী তাফছির আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এ্যাড. শরিফুল ইসলাম জোয়াদ্দার খোকন, এ্যাড. মাসুম আল রশিদ, শেখ আবু হোসেন বাবু, জিএম কামরুজামান টুকু, কেএম আশরাফুল আলম নান্নু, এ্যাড. এ কে এম শহিদুল আলম, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা ও শেখ শামছুল আলম পিন্টু প্রমুখ।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়