প্রথম সময় ডট কম এ প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে আ’লীগের প্রতিবাদ
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রথম সময় ডট কম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে গতকাল সোমবার সংখ্যায় খুলনা জেলার শীর্ষ নেতার কয়েক কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। সেখানে স্থানীয় জেলা পর্যায়ের কোন নেতার মনোনয়নের ক্ষেত্রে কোন হাত না থাকলেও উক্ত কথিত নিউজ পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক শাহিন রহমান উদ্দেশ্যমুলকভাবে আকার ইঙ্গিতের ভাষা ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খুলনার আওয়ামী লীগ ও জেলার নেতাদের চরিত্র হনন ও রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার কুট-কৌশল প্রয়োগ করে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ভিত্তিহীন কাল্পনিক একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এছাড়া প্রায়ই তিনি খুলনার আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে বিভিন্নভাবে চরিত্র হনন করার জন্য ভিত্তিহীন মূলক নিউজ প্রকাশ করে আসছেন। সরকারি অনুমোদনহীন ভূয়া নিউজ পোর্টাল ব্যবহার করে এমন অপসাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতা নামে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের লংঘন করে চলেছেন অহরহ। যা কারো কাম্য নয়। জানা যায়, তিনি ইতিপূর্বে ছাত্রজীবনে ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবির এর রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল এবং ইতিপূর্বে অবপ্রচারমূলক সংবাদ প্রকাশ করে নেতাদের নিকট হতে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধার চেষ্টা করেছে। অপসাংবাদিক হিসেবে তিনি খুলনা মহানগরীতে চিিহ্নত ব্যক্তি এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে তিনি ঢাকা-খুলনায় যাতায়াত করেন। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের ভূয়া নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। প্রয়োজনে কথিত সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন।
বিবৃতিদানকারী নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন- কেন্দ্রীয় নেত্রী ও শ্রম কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কে.সি.সি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।