প্রথমে জীবন তারপরে জীবিকা: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইনজীবীদের অসুবিধা হচ্ছে এটি আমরা বুঝি। কিন্তু জীবনও তো আছে।
জীবনের সঙ্গে জীবিকাও লাগবে। দু’টি লাগবে একসঙ্গে। জীবন-জীবিকা পাশাপাশি যায়। প্রথমে জীবন তারপরে জীবিকা।
চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চ ভার্চ্যুয়ালি খুলে দিতে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অনুরোধ জানালে প্রধান বিচারপতি রোববার (১৮ এপ্রিল) এমন মন্তব্য করেন।
ভার্চ্যুয়ালি আপিল বিভাগে বিচার কাজ চলার এক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বিভাগের কমপক্ষে ১০টি বেঞ্চ খুলে দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ জানান।
ব্যারিস্টার কাজল বলেন, আপিল বিভাগ ও চেম্বার আদালত মিলে সপ্তাহে পাচঁদিনই সর্বোচ্চ আদালত চলছে। তাই আরও কয়েকটি হাইকোর্ট বেঞ্চ চালু করা যেতে পারে। আর গত এক বছরে আইনজীবীরা ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাই প্রয়োজনে আরও ১০টি ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ চালু করলে আইনজীবীরা উপকৃত হতো। আমি তো বারের সম্পাদক। তাই হাইকোর্টে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আপনার কাছে বলতে আইনজীবীরা আমাকেই বিভিন্নভাবে বলছেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক আইনজীবী অর্থনৈতিক কষ্টে আছেন। রোজা চলছে। সামনে ঈদ। আইনজীবীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টে বেঞ্চ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীদের অসুবিধা হচ্ছে এটি আমরা বুঝি। কিন্তু জীবনও তো আছে। জীবনের সঙ্গে জীবিকাও লাগবে। দু’টি লাগবে একসঙ্গে। জীবন-জীবিকা পাশাপাশি যায়। প্রথম জীবন তারপরে জীবিকা।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় হাইকোর্টে ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বাড়াতে হলে অনেক স্টাফকে সশরীরে কোর্টে আসতে হবে। এতে জনবল বেড়ে যাবে এবং করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়বে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপিল বিভাগের সব বিচারপতির মতামত নেওয়া হয়। বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী সবার কথা চিন্তা করে বেঞ্চ সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি।
আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সবাই ভালো থাকেন এবং বাসায় থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা বলছি-‘স্টে হোম, স্টে সেফ’।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে হাইকোর্টে ভার্চ্যুয়ালি চারটি বেঞ্চ বিচার কাজ পরিচালনা করছেন।