November 28, 2024
জাতীয়

প্রথমবারের মত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক

করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হলো ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক। সোমবার (১৩ জুন) সকাল ১১টায় এই বৈঠক শরু হয়, শেষ হয় পৌঁনে ১টার দিকে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভা কক্ষে সাতজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে। আমরা সচিবালয়ে ছিলাম, প্রধানমন্ত্রী তার ওখানে ছিলেন।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রিসভা ও রিপোর্ট অনুবিভাগ) মো. আব্দুল বারিক বলেন, ‘আজকে সকাল ১১টায় মন্ত্রিসভা বৈঠক শুরু হয়, এটি ভার্চুয়ালি হয়েছে। দিস ইজ ফার্স্ট টাইম, এভাবে মিটিং হলো।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (মন্ত্রিসভা অধিশাখা) মো. রাহাত আনোয়ার বলেন, ‘ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন, ওখানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস স্যারও ছিলেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্যার ছাড়াও সাতজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব যুক্ত ছিলেন।’

সচিবালয় প্রান্তে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যমে যুক্ত ছিলেন। এসব মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।

মন্ত্রিসভা হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। সাধারণত প্রতি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কিংবা সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করে থাকেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত থাকেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এর আগে গত ৮ জুন জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এরপর অবশ্য ১১ জুন বাজেট অনুমোদনের বিশেষ মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কয়েক দফায় ছুটি বাড়ে। গত ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি থাকে দেশে।

টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *