September 17, 2024
জাতীয়

প্রথমবারের মত টিকাদান কর্মসূচিতে ম্যালেরিয়ার টিকা

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিশ্বে প্রথমবারের মত শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে ম্যালেরিয়ার টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এই টিকা মশাবাহী রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় জয় এনে দেবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।

বিবিসি জানায়, শুক্রবার কেনিয়ার কিসুমু, কাকামেগা ও মোম্বাসায় ম্যালেরিয়ার টিকার প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন বছর নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে তিন লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেয়া হবে।

প্রায় ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই টিকা। ‘আরটিএস,এস’ নামের এ টিকা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ম্যালেরিয়ার জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। এ টিকা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে বলে আশা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।

প্রতিটি শিশুকে চার ভাগে (ডোজ) এই টিকা দেওয়া হবে এবং অবশ্যই শিশুর দুই বছর বয়স হওয়ার আগে চতুর্থ ডোজ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, পরপর তিন মাসে তিন ডোজ এবং ১৮ মাস পর চতুর্থ ডোজ।

গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানান, পরীক্ষায় টিকা গ্রহণের ফলে ১০টি শিশুর মধ্যে চারজনের শরীরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া পরীক্ষাগারে দেখা গেছে, মারাত্মক ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এই টিকা একতৃতীয়াংশ সফল।

বিজ্ঞানীদের আশা, এই টিকা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শাক্তিশালী হাতিয়ার হবে। বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন এবং প্রাণঘাতী রোগগুলোর একটি ম্যালেরিয়ায় প্রতিবছর চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, যাদের বেশিরভাগই শিশু।

২০১৮ সালে আফ্রিকার তিন দেশ ঘানা, কেনিয়া ও মালাউয়িতে কিছু কিছু এলাকায় ডব্লিউএইচও থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়। ওই তিন দেশের যেসব অঞ্চলে টিকা দানের পাইলট প্রকল্প চালানো হয়েছে সেখানেও নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে ম্যালেরিয়ার টিকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গবেষণাগারে ম্যালেরিয়ার টিকা কার্যকর ও নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় বাস্তবে এটা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কতটা কার্যকর; বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চলগুলোতে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *