প্রকৃতিমুগ্ধ ব্যতিক্রমী আলোকচিত্রী ইমন
রাফিউল ইসলাম ইমন। ক্যামেরা ঘাড়ে উদাস বেশে ঘুরে বেড়ানো ব্যতিক্রমী এক মানুষ। প্রকৃতিকে ফ্রেমবন্দি করার যেন তীব্র ঝোঁক এই আলোকচিত্রীর। শখ থেকেই ফটোগ্রাফির শুরু। আর এখন শখের বসেই ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়ান গল্পের খোঁজে। শখের ফটোগ্রাফি এখন যেন তার কাছে নেশার মতো। বিষয়বস্তুকে ঠিকমতো ক্যামেরার আয়ত্ত্বে আনতে কখনো শুয়ে, কখনো বসে বা বিভিন্ন ঢংয়ে দেখা যায় তাকে।
ইমন পড়াশোনা করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি তোলাই যেন তার প্রধান কাজ। তবে সেটা কোনো আয়, বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য নয়। শুধু প্রকৃতির ছবিই নয়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন উৎসব, বন্ধুমহলের জন্মদিন উদযাপনসহ প্রায় সব অনুষ্ঠানেই পরিচিত মুখ তিনি। ডাকলেই সবাই পেয়ে যায় তাঁর শৈল্পিক হাতের পরিপূর্ণ ছবিতে নিজেকে মেলা ধরার সুযোগ।
ইমন বলেন, ছবি তোলার প্রতি ঝোঁক ছিল ছোট্ট বেলা থেকেই। কিন্তু ২০১৬ সালে কলেজে পড়াকালীন সময়ে সেটা পরিপুর্নতা লাভ করে। তখনও ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা শিখিনি ভালো করে। বন্ধু অনিক খুব ভালো ছবি তুলতো ওকে দেখেই অনুপ্রাণিত হই এবং ওর হাত ধরেই আমার ছবি তোলা শুরু হয়। এরপরে ভাইয়ের Canon 600 D ক্যামেরা দিয়ে হাতেখড়ি হয় ফটোগ্রাফি’র। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিজে টিউশনি করে একটু একটু জমানো টাকা দিয়ে শখের ক্যামেরা Cannon 80 D কিনে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, মূলত প্রাকৃতিক পরিবেশের উপরই আমার দুর্বলতাটা বেশি। আমি চেষ্টা করি প্রতিটি ছবির পিছনে একেকটা গল্প তুলে ধরতে। তবে বাচ্চাদের শৈশবের উচ্ছ্বলতাগুলোও আমাকে খুব টানে। নিজের মতো করে ফেসবুকে একটা পেজও (কাল্পনিক প্রতিচ্ছবি) চালাই। আমার পেবুক আইডির পাশাপাশি সেখানেও এই ছবিগুলো দিয়ে থাকি।
এই শখটাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছে আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এই ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কিছু অবলম্বন দরকার হয়। তেমনি ফটোগ্রাফি করাটাও ঠিক আমার নিজের ভিতরটাকে একটু বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এজন্যই আমি কখনো প্রতিযোগিতায়ও তেমন একটা ছবি সাবমিট করিনা। একান্তই ভালোলাগা থেকে করা। এখনও এমন কিছু ভাবছি না।