পৈত্রিক জমি ও ঘের দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের দুটি মৌজায় ২০০ বিঘার মৎস্য ঘের রয়েছে। এই জমির মধ্যে ২৫ বিঘা জমি । এলাকার প্রভাবশালী আদুস সালাম কেরু এবং জামায়াত নেতা ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামী রবিউল ইসলাম খান জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে বেড়িবাধ দিয়ে আটকে দিয়ে জবর দখল করে রেখেছে । এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়েও কোন প্রতিকার পাইনী। তাই ন্যায বিচার পেতে গতকাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভুগি।
গড়ইখালী ইউনিয়নে নুরপুর আমিরপুর মৌজায় ৯০ বিঘা , নুরপুর আমিরপুর মৌজা এবং খড়িয়া মেসাখালী মৌজায় ১১০ বিঘা জমিতে পৈত্রিক ও লীজ ডিডকৃত বিগত ১৯১৯২ইং সন থেকে ফুমের সহিত মস্য ঘের করে আসছি । এই ২০০ বিঘা জমির মধ্যে আমাদের জমি রয়েছে ৬০ বিঘা। বাকী জমি । মালিকদের কাছ থেকে ভিত নিয়ে ভুক্তভুগির ভাই ইমরান হােসেন সোহাগ ও ব্যবসায়ীক পার্টনার সঞ্জীব রায়কে নিয়ে মাছের ঘের পরিচালনা করে আসচ্ছে । কিন্তু চলতি ২০১৯ সালে প্রভাবশালী আব্দুস সালাম কেরু এবং জামায়াত নেতা ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামী রবিউল ইসলাম আনজে কি মালিকদের কাছ থেকে ৩৫ বিঘা জমি পাজ নেয় । কিন্তু তারা এই – জমিসহ আরো । ২৫ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় । এ অবস্থায় আমি প্রতিকার পেতে গত ১০ / ০২ / ১৯ইং তারিখে পাইকগাছা থানার ওসির নিকট লিখিত আবেদন করি । তিনি তখন দুই পক্ষকে সলিলপত্র নিয়ে থানায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিলেও বিবাদী । পক্ষ প্রভাব আদুস সালাম কেরু থানায় উপস্থিত হননি । অবশেষে ওসি সাহেব পরবর্তীতে আমাদেরকে ডেকে বলেন , এখানে আমার কিছুই করার নেই। জামায়েত নেতা ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামী রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ৫ জানুয়ারী নির্বাচনী পরবর্তী এলাকায় ব্যাপক নাশকতা , আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর , বোমাবাজীর অভিযােগ রয়েছে । পৈত্রিক জমি ও ঘের দখলের প্রতিবাদে আজ খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোছাম্মত আসমা বেগম।