পেস বোলার থেকে যেভাবে কিপার হলেন মুশফিক
একসময় ক্রিকেটের চেয়ে ব্যাডমিন্টন বেশি ভালো লাগত মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু সুযোগ হয়নি সেই খেলায় ক্যারিয়ার গড়ার। বিকেএসপিতে ক্রিকেটের পাশাপাশি সুযোগ পেয়েছিলেন ফুটবলেও। বেছে নেন ক্রিকেট। সেখানে শুরুতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি করতেন পেস বোলিং। পরে থিতু হন কিপিংয়ে।
দেশের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম আলাপচারিতায় মুশফিক শোনালেন শৈশবের দিনগুলোর কথা। শনিবার রাতে দুই বন্ধুর ঘণ্টাখানেকের এই ভার্চুয়াল আড্ডা জমেছিল দারুণ।
মুশফিকের বোলিংয়ের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তামিম ইকবালই। অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে একসঙ্গে খেলেছেন দুজন। তখনই মুশফিকের বোলিং দেখেছেন তামিম, বোলিং অ্যাকশন ছিল দীর্ঘদেহী সাবেক ইংলিশ ফাস্ট বোলার স্টিভ হার্মিসনের মতো!
মুশফিক তখন জানালেন, অনেক পথ ঘুরে কীভাবে থিতু হলেন ব্যাটিং ও কিপিংয়ে।
“আমার আসলে ক্রিকেটের চেয়েও বেশি প্রিয় ছিল ব্যাডমিন্টন। অনেক ভালো লাগত। কিন্তু তখন বিকেএসপিতে ব্যাডমিন্টন ছিল না। আমি ক্রিকেট ও ফুটবল, দুটিতেই চান্স পেয়েছিলাম। পরে ক্রিকেটেই গেলাম। লারা আমার প্রিয় ছিল খুব, তার মতো ব্যাটিং করতে ইচ্ছে হতো। আমার ভাইরাও সব ক্রিকেট খেলত। সব মিলিয়ে ক্রিকেটেই গেলাম।”“বোলিং করতাম কারণ তখন চেষ্টা করতাম যতদিক থেকে অবদান রাখা যায়। কিপিং সেভাবে করতাম না। বিকেএসপির কোচরাও তখন আমাকে বলতেন, ‘ওই উচ্চতা নিয়ে পেস বোলার হতে চাও, পাগল নাকি?’ পরে একটা ম্যাচে আমাদের মূল কিপার ছিল না ইনজুরির কারণে। আমি কিপিং করলাম, ভালোবেসে ফেললাম।”
সেই মুশফিক এখন বাংলাদেশের সফলতম কিপার ও সফলতম কিপার-ব্যাটসম্যান। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করা টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার তিনিই।