পেশা যাই হোক তারা আমার বন্ধু: মাশরাফি
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। যিনি ২২ গজে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোকে ধরাশায়ী করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্যও। কিন্তু বন্ধু মাশরাফি যেন অন্যরকম।
নড়াইলে গেলেই হয়ে যান শৈশবের সেই দুরন্ত কিশোর। দেশের ক্রিকেটকে যে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেটা যান ভুলে। ছুটে যান শৈশবের বন্ধুদের কাছে। কারণ ছোটবেলার বন্ধুত্ব এখনো অম্লান রেখেছেন তিনি।
মাশরাফির বন্ধুদের মধ্যে একজন রবি। তিনি পেশায় মুচি। নড়াইল শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম বললে এক নামে সবাই তাকে চেনে। একটি মেহগনি গাছের নিচে বসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জুতা-স্যান্ডেল সেলাই ও পলিশ করেই পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দেন।
সম্প্রতি তার সঙ্গে মাশরাফির একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রবি জুতা সেলাই করছেন। হুডি ও মাস্ক পরে পায়ের ওপর পা তুলে পাশে বসে গল্প করছেন মাশরাফি।
এ বিষয়ে রবি বলেন, ‘আমি মুচি, জুতা স্যান্ডেলের কাজ করি চুরি তো করি না। আমার বন্ধু মাশরাফি এমপি ও ক্রিকেট তারকা। সে যতটা পারে আমাদের সাহায্য করে। সে নড়াইলে আসলে আমার সঙ্গে দেখা করে। তেমনি শনিবারও এসেছিল। কে বা কারা ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে। এজন্যই এতো আলোচনা সমালোচনা। মাশরাফির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আজীবনের।’
মাশরাফির ছোটবেলার আরেক বন্ধু সুমন, পেশায় ঝাড়ুদার। সুমন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমরা একসঙ্গে চলাফেরা ও খেলাধুলা করে বড় হয়েছি। মাশরাফি এখন আমাদের মতো মানুষের সঙ্গে না মিশলেও তো পারে। কিন্তু নড়াইলে আসার আগেই মাশরাফি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মাশরাফির সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই আছে। সে একজন নিরহংকারী মানুষ। দোয়া করি সে যেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের মতো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।
এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ছোটবেলায় যাদের সঙ্গে খেলা করে চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে বড় হয়েছি তারা আমার বন্ধু। তারা যে পেশায় থাকুক তাতে কী আসে যায়।