পেঁয়াজ কেনার ভিড়ে বেরিয়ে গেল গুলি, আহত ২
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সিলেটে খোলাবাজারে টিসিবির ট্রাকে পেঁয়াজ কিনতে যাওয়া মানুষের ভিড়ে পুলিশের শটগান থেকে ‘অসাবধানতাবশত’ গুলি বের হয়ে নারীসহ দুইজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিক্রি করা এই পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে র্যাব আটক করেছিল শুক্রবার।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিতা আক্তার বলেন, সোমবার দুপুরে শহরের রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের সামনে পেঁয়াজ কেনার জন্য বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল। পুলিশ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পাঁচজন করে অডিটোরিয়ামের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেয়। কিন্তু পেছন থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে লোড করা একটি শটগান থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বের হয়ে যায়। ছররা গুলিতে দুইজন আহত হন।
পরিদর্শক রিতা বলেন, আহততদের মধ্যে একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাম হাতে গুলি লেগেছে। আর আহত নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সিলেট শহরতলির বটেশ্বর বাইপাস এলাকা থেকে এই পেঁয়াজগুলো জব্দ করা হয় বলে র্যাব ৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ট্রাকটিতে সাত হাজার ২০০ কেজি পেঁয়াজ ছিল। এগুলো ভারত থেকে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আমদানির কাগজ দেখাতে না পারায় ট্রাক ও পিয়াজ জব্দসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
পেঁয়াজগুলো প্রথমে নিলামে ওঠানোর কথা থাকলেও পরে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়। সকাল ১০টা থেকে শহরের কবি নজরুল অডিটোরিয়াম এলাকা, কিন ব্রিজের মোড় ও বঙ্গবীর রোডের মার্কাস পয়েন্টে তিনটি ট্রাকে করে এসব পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়।
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকে লোকেলোকারণ্য হয়ে ওঠে এসব এলাকা। এ সময় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
টিসিবি সিলেটের ইনচার্জ মো. ইসমাইল মজুমদার বলেন, সকাল থেকেই আমরা খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। আমাদের ডিলার সরকার নির্ধারিত মূল্যে শহরের তিনটি পয়েন্টে ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন।
সিলেটে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছেন। দুপুরে সিলেটের কিন ব্রিজ পয়েন্টে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির অস্থায়ী কেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ান তিনি।
মেয়র বলেন, সাধারণ মানুষের কাতারে এসে পেঁয়াজ কিনতে আসা আমার প্রতীকী প্রতিবাদ। বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। এ অবস্থায় মানুষ অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই মানুষের কষ্টের সঙ্গে শামিল হতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। লাইনে দাড়িয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবি জানান মেয়র আরিফুল।