পূজা থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার অঙ্কুশ
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা অঙ্কুশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের সিপাইবাজারে ‘দেবী স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’এর সরস্বতী পূজার উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে কলকাতায় ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টায় ধুলাগড়ের টোল প্লাজার কাছে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন এই অভিনেতা। লরির সাথে ধাক্কা লাগে এবং দুমড়ে মুচড়ে যায় অভিনেতার গাড়ি।
এই বিষয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে অঙ্কুশ লিখেন, আমার গাড়িটা একটা লরির পিছনে ছিল। আমার ড্রাইভার হর্ন দিলে লরি ড্রাইভার একটি লেন ছেড়ে দেয়। এরপর আমার গাড়ি লরিটিকে ওভারটেক করে। সেই সময় হঠাৎ করে সেই লরিটি আবার পুরনো লেনে ফিরে আসে। যার কারণে লরির ধাক্কায় আমার গাড়িটা পুরোপুরি ঘুরে যায়। এসইউভি ছিল বলে গাড়িটা উল্টে যায়নি। তাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।
দুর্ঘটনার পর কোনক্রমে কলকাতায় ফিরে, বুধবার সকালে অঙ্কুশ তাঁর ‘টিম’-এর সদস্যদের উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পাঠিয়েছিলেন। থানায় পৌঁছালে পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার প্রমাণ চাওয়া হয়। কিন্তু তা
অঙ্কুশের ‘টিম’-এর সদস্যদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে অভিযোগও নেয়নি উলুবেড়িয়া থানা।
কোলাঘাট থেকে ধুলাগড় টোলপ্লাজার মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় পড়েন অভিনেতা। স্থানীয় সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের ওই অংশটির মধ্যে বাগনান, বাউরিয়া, পাঁচলা, সাঁকরাইল এবং উলুবেড়িয়া— এই পাঁচটি থানা পড়ে। যদিও বুধবার এই প্রতিটি থানাই দায় এড়িয়ে গিয়েছে। উলুবেড়িয়া থানার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি এবং বুধবার দুর্ঘটনার কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন! অভিনেতা অঙ্কুশকেও যদি ‘দায় এড়ানো’ খেলার শিকার হতে হয়, তাহলে কোনও সাধারণ মানুষ জাতীয় সড়কে বিপদে পড়লে কী হবে? যিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন, তাঁকেই প্রমাণ জোগাড় করতে হবে!
এই প্রসঙ্গে অঙ্কুশ বলছিলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে যা বুঝলাম, খালি হাতে অসহায় ভাবে ফিরে আসা ছাড়া সাধারণ মানুষের আর কিছু করার নেই!’
আক্ষেপ করে এই অভিনেতা বলেন, মদ্যপ লরি চালকের সঙ্গে পুলিশের কথাবার্তা শুনে আমি খুবই অবাক হয়েছি। দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি সামলাবো, এলাকাটি কোন থানার মধ্যে পড়ে তা খোঁজ নেব না দুর্ঘটনার পর নিজস্বী তুলে প্রমাণ দেব।