‘পুশ-ইনের’ চেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেনী নদী সীমান্তে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করানোর চেষ্টা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সেখানে বলা হয়, “এ ধরনের ঘটনায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।”
খাগড়াছড়ির রামগড় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফেনী নদী দিয়ে গত ১ মে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বিএসএফ ‘বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার’ চেষ্টা চালালে তা প্রতিরোধ করে বিজিবি ও স্থানীয় জনতা।
এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাই কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের সহায়তার করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট হস্তান্তর করতে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান হাই কমিশনার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত থেকে আমদানি করা মালামালসহ পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে থাকা ট্রাক যাতে দ্রুত বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় হাই কমিশনারকে অনুরোধ করেন।
মোমেন বলেন, “ট্রাক আটকে থাকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।”
রেলপথে উভয় দেশের মালামাল পরিবহনের বিষয়ে ভারতীয় হাই কমিশনারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সমস্যা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে আসা ৬১ জন ড্রাইভার ও তাদের সহযোগীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা মানবিক কারণে করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
তাদের দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতেও হাই কমিশনারকে অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকদের আর্থিক ও খাদ্য সংকট মোকাবিলায় উভয় দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
”যদি কোনো শ্রমিক দেশে ফিরে আসেন, তাহলে তারা যেন কমপক্ষে ছয় মাসের বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক সহায়তা পান, সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে ভারতের হাই কমিশনার স্বাগত জানান।“
তৃতীয় দফায় বাংলাদেশের জন্য ভারত সরকারের পাঠানো করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট দিয়ে ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করার সম্ভব হবে বলে ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে।
এর আগে দুই দফায় ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৫ হাজার হেড কাভার, ৫০ হাজার সার্জিক্যাল গ্লাভস এবং ১ লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট পাঠিয়েছিল ভারত।