পুলিশের মালখানায় চুরির পর নতুন তালা দিয়ে গেল চোর
গ্রাম আদালত ভবনে জেলা পুলিশের মালখানায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চুরির পর মালখানার দরজায় নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে গেছে।
মালখানা থেকে কী কী খোয়া গেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে পুলিশ কিছু বলছে না।
মালখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্র, শনি ও রোববার টানা দিন আদালত ভবনের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মালখানা।
মালখানাটিতে বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা কাগজপত্র, অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদকসহ নানা রকম উপকরণ রাখা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। কী কী খোয়া গেছে তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার রাতের কোনো এক সময় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।“সকালে মালখানার কর্মচারীরা এসে দেখে যে তালা লাগিয়ে তারা সিলগালা করে গেছেন, সেই তালা দরজায় নেই। অন্য তালা লাগানো, চাবি ঢুকছে না।
“পরে বিষয়টি আমাদের জানানো হয়। আমরা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে নতুন তালাটি ভেঙে মালখানায় প্রবেশ করি।”
রাতের পালায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই কনস্টেবল মোহাম্মদ খলিলুর রহমান এবং মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান বিজন বড়ুয়া।
চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কী চুরি হয়েছে সেটা এখনই বলা সম্ভব না।
“মালখানায় যে আলামত আছে তার পরিমাণ বিপুল। তালিকার সাথে সব মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। মেলানো শেষ হলে বলা যাবে যে কী চুরি গেছে।”
ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা (পিবিআই) মালখানায় আসেন। সেখান থেকে সিআইডি ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে।