পুলিশের ওপর বোমা হামলা: কুয়েটের প্রাক্তন ছাত্রসহ ২ নব্য জেএমবি গ্রেফতার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গত বছর রাজধানীর গুলিস্তান, মালিবাগ, সায়েন্স ল্যাব, খামারবাড়িসহ পাঁচটি জায়গায় পুলিশের উপর বোমা হামলার ঘটনায় নব্য জেএমবির আরো দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
এরা হলেন- খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক ছাত্র জামাল উদ্দিন রফিক (২৬) ও পেশায় গাড়িচালক আনোয়ার হোসেন (২৫)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। আগের দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শনির আখড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন।
পরে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের সিটিটিসির প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর সংঘটিত পাঁচটি হামলার ঘটনায় এর আগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- মেহেদী হাসান তামিম, ফরিদ উদ্দিন রুমি, আব্দুল্লাহ আজমীর ও মিশুক খান। এদের মধ্যে মিশুক ছাড়া সবাই আদালতে ১৬৪ (স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি) করেছে। সেখানে তারা তাদের দলনেতা হিসেবে জামালের নাম বলেছে।
জামাল কুয়েট থেকে পড়াশোনা করেছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, পাঁচটি ঘটনায় চারটিতে তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার জামাল কিছুদিন ‘আউট সোর্সিংয়ের’ চাকরি করত এবং নিজের জমানো টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো।
মনিরুল বলেন, জামাল প্রথমে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, পরে নব্য জেএমবিতে জড়ান। নিজের ভাই ফরিদ উদ্দিন রুমি এবং কুয়েটের আরও দুই বন্ধুকেও তিনি দলে ভেড়ান। জামাল, রুমি, আব্দুল্লাহ ও আনোয়ার কালো পোশাক ও বোমাসহ সুইসাইডাল ভেস্ট পরে খেলনা অস্ত্র হাতে উগ্রবাদী কথাবার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে প্রচার করেছিল।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের তক্কার মোড়ে ‘জামালের বোমা তৈরির’ কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাজা বোমাসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই এই হামলাগুলো চালানো হয়েছিল বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। এই দুজনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত চক্রের ছয় জনের সবাই গ্রেফতার হলো।