পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানো চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এক সপ্তাহ আগে মস্কোর একটি করোনাভাইরাস হাসপাতাল ঘুরিয়ে দেখানো চিকিৎসক ডেনিস প্রোৎসেঙ্কো কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রোৎসেঙ্কো নিজেই তার দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মস্কোর কমুনারকা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার পুতিন এ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হাতও মিলিয়েছিলেন।
সেসময় তারা কেউও সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিহিত ছিলেন না বলে টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার ফেইসবুকে এক পোস্টে প্রোৎসেঙ্কো বলেন, “হ্যাঁ, পরীক্ষায় আমার দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, কিন্তু আমি বেশ ভালো বোধ করছি। কার্যালয়েই আমি নিজেকে আলাদা করে রেখেছি। মনে হয়, চলতি মাসে আমার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার যে উল্লম্ফন ঘটেছে, তাতেই এই ভালো বোধ হচ্ছে।”
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, পুতিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা জানতে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং ‘এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে’।
কোভিড-১৯ ও অন্যান্য সকল অসুস্থতা থেকে রুশ প্রেসিডেন্টকে সার্বক্ষণিকভাবে সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে বলেও এর আগে ক্রেমলিন আশ্বস্ত করেছিল।
গত সপ্তাহে পুতিন মস্কোর ওই হাসপাতালটি পরিদর্শনে গিয়ে রোগী দেখার আগে আগে হেজমাট স্যুট গায়ে জড়িয়েছিলেন, লাগিয়েছিলেন রেসপিরেটরও । যদিও প্রোৎসেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের সময় তার শরীরে এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম কিংবা মাস্ক বা গ্লাভসের কিছুই ছিল না। ওই সাক্ষাৎপর্বে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুজন ছবিও তুলেছিলেন।
ক্রেমলিন শুক্রবার পুতিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল। আক্রান্ত ব্যক্তি পুতিনের সংষ্পর্শে আসেননি এবং সংক্রমণের বিস্তৃতি রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিল তারা।
এদিকে রুশ আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সরকারকে জরুরি অবস্থা জারির ক্ষমতা দিয়েছে; লকডাউনের নিয়মকানুন লংঘনে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধানেও সম্মতি দিয়েছেন তারা।
মস্কো টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাশিয়ার দুই হাজার ৩৩৭ জনের দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে; মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৭।