November 27, 2024
জাতীয়

পীরগঞ্জের ঘটনায় গ্রেফতার সৈকত ছাত্রলীগ নেতা

রংপুরের পীরগঞ্জে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার সৈকত মণ্ডল (২৪) ছাত্রলীগ নেতা। রংপুরের কারমাইকেল কলেজের দর্শনের স্নাতকের এ শিক্ষার্থী ওই বিভাগের ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি ছিলেন। হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর তাকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার।

তিনি বলেন, সৈকত দর্শন বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিল। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট ওই বিভাগ ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ১৮ অক্টোবর তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পীরগঞ্জের ঘটনায় সৈকতের বিচার দাবি করেন সাইদুজ্জামান সিজার।

এর আগে, শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে টঙ্গী থেকে সৈকত মণ্ডল ও তার সহযোগী রবিউল ইসলামকে (৩৬) গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৩। সৈকত মণ্ডল উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামের রাশেদুল মণ্ডলের ছেলে।

এ নিয়ে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, রংপুরের পীরগঞ্জের সাম্প্রদায়িক হামলার উসকানিদাতা ছিলেন সৈকত মণ্ডল, এমনকি হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সৈকতের নির্দেশেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে লোক জড়ো করেছিলেন মসজিদের মোয়াজ্জিন রবিউল।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সৈকত স্নাতকের শিক্ষার্থী এবং তিনি একটি ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন। ওই পেজে তার তিন হাজার ফলোয়ার আছে। তিনি প্রথমে ওই পেজে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে এবং এরপর মাইকিংয়ের মাধ্যমে লোক জড়ো করে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন। সৈকত নিজেকে একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফেসবুকে ধর্মীয়, সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট দিতেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, সৈকত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এসব তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন। তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন হামলায় সরাসরি অংশ নিয়ে বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। গ্রেফতার হওয়া রবিউল ঘটনাস্থলের পাশে একটি মসজিদের মোয়াজ্জেন ছিলেন। সৈকতের নির্দেশেই রবিউল মাইকিং করে লোকজন জড়ো করেন। এরপর উঁচু একটি স্থানে দাঁড়িয়ে সৈকত হামলা ও অগ্নিসংযোগের জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেন। ঘটনার পরপর সৈকত ও রবিউল দুজনই আত্মগোপনে চলে যান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *