পিটিয়ে হত্যায় জড়িত সবাই খুনের আসামি হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের সবাইকে হত্যা মামলার আসামি করা হবে বলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন। ছেলেধরা গুজব প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাছান বলেন, গত কয়েক দিনে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে অনেক নিরীহ মানুষকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে, এগুলো সবগুলোই হত্যাকাণ্ড। যারা এসব কাজ করেছে তারা সবাই হত্যা মামলার আসামি। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়, সেটির ডালপালা ছড়িয়ে ছেলেধরা আতঙ্ক তৈরি করা হয়। ছেলেধরা বলে অনেকের উপর হামলা করা হয়েছে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। হাছানের ভাষ্য, পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দিতে হবে- এই গুজব তারাই ছড়িয়েছিল যারা পদ্মা সেতু চায় না, দেশের উন্নয়ন চায় না।
এ ধরনের গুজব যাতে কেউ ছড়াতে না পারে সেজন্য সারকার নানাবিধ ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়ানোয় ইতোমধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার ৪৪ জনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাননি তিনি।
হাছান বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদপ্তর, বেতার, টেলিভিশনসহ সব জায়গায় প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ছেলেধরা যে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত একটি ঘটনাও সত্য প্রমাণিত হয়নি। এজন্য এ ধরনের কাজ যাতে কেউ না করে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি, যারাই এ ধরনের আতঙ্ক ছড়াবে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমরা দলীয়ভাবে সবাই যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে এ ধরনের আতঙ্ক যারা ছড়াচ্ছে বা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আপনাদের মাধ্যমেও দলের প্রচার সম্পাদক হিসাবে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে এই অনুরোধ জানাই। পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দেওয়া হবে যখন এই গুজব ছড়ানো হয় তখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তারা একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আজকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজগুলো যারা করছেন এরসাথে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যুক্ত কি না সেটিও কিন্তু ভাবার বিষয়।
এক প্রশ্নে হাছান বলেন, গণফোরাম প্রেস ক্লাবে বসে সংবাদ সম্মেলন করেছে, বন্যার্ত মানুষের জন্য তাদের যে উদ্যোগ-আয়োজন তা ‘প্রেস ক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ’। বিএনপিরও বন্যার্ত মানুষের জন্য উদ্যোগ-আয়োজন ‘প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ’।
গণফোরাম এবং বিএনপি ঢাকায় বসে প্রেস ক্লাব এবং তাদের দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সমস্ত কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। তাদেরকে অনুরোধ জানাব, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ঝাপিয়ে পড়েছে সেটাকে অনুকরণ করে অনুসরণ করে একই কাজ করে তারপরে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা রাখুক। নেতাদের নিয়ে টিম গঠন করে আওয়ামী লীগ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান দলটির প্রচার সম্পাদক হাছান।