পা কেটে মিছিল: দুই হোতাসহ আটক ৪২
লকডাউন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে আনন্দ মিছিল করার ঘটনায় ৪২ জন দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর থেকে সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই হোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লাও রয়েছেন।
আবু কাউসার মোল্লাকে রোববার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা এবং জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে ঢাকার কলাবাগান থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাউসার মোল্লার বিরোধ চলছিল। এর জেরে রোববার সকাল থেকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোবারক মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে এক পক্ষ। এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।