পাহাড়ে ফেরার পথে তিনজনকে মারল বোয়ালখালীর সেই হাতির পাল
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় লোকালয়ে নেমে আসা হাতির পাল পাহাড়ে ফেরার পথে তাণ্ডব চালিয়ে তিনজনকে মেরে রেখে গেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে উপজেলার কধুরখীল, চরণদ্বীপ ও শ্রীপুর-হরণদ্বীপ ইউনিয়নে হাতির পালের এই হামলা হয়।
নিহতরা হলেন- চরণদ্বীপ ইউনিয়নের চাঁদেরহাট পূর্ব সৈয়দ নগর এলাকার জাকের হোসেন (৬৫), কধুরখীল ইউনিয়নের মধ্যম কধুরখীল শরীফ পাড়ার আবু তাহের মিস্ত্রী (৬৫) ও শ্রীপুর-হরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার আব্দুল মাবুদ (৬০)।
শনিবার ভোর থেকে সাত থেকে নয়টি হাতির একটি পাল পূর্ব কধুরখীল ইউনিয়নে অবস্থান নিয়েছিল। দিনভর স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হাতিগুলোকে সরানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা, করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে হাতির পালটি প্রায় ১২ কিলোমিটর দূরে লোকালয়ে অবস্থান নেয় বলে শনিবার জানিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। সেগুলো দেখতে কধুরখীলের মানুষজন দিনভর সেখানে অবস্থান করায় হাতিগুলো বায়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন একটি সুপাড়ি বাগানে আশ্রয় নিয়েছিল। লোকালয়ে হাতি নেমে আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এক ভাগ গভীর রাতে পাহাড়ের দিকে চলে যায়।
“আরেক ভাগে পাহাড়ের দিকে যাওয়ার সময় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পূর্ব কধুরখীলে, সাতটার দিকে চরণদ্বীপের পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন পোপাদিয়া চাঁদের হাটে এবং সাড়ে সাতটার দিকে জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকায় লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে তিনজন নিহত হয়েছে।”
উপজেলার ৮ নম্বর শ্রীপুর-হরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন বলেন, পাহাড় থেকে হাতির পাল নেমে শনিবার প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে কধুরখীল এলাকায় অবস্থান করেছিল। হাতিগুলো ফিরে যাওয়ার পথে লোকালয়ে তাণ্ডব চালায়।
“ভোর থেকে সকালের দিকে হাতির পাল জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ে চলে যায়। যাওয়ার পথে আব্দুল মাবুদকে আক্রমণের পাশাপাশি একটি গরুও মেরে ফেলে।”
এদিকে নিহতদের বনবিভাগের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন।