পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী, বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ: একি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠবে?
দুটি রাজনৈতিক দল, বিএনপি ও আওয়ামীলীগ। ১৯৭৫ সালের রক্তাক্ত পটপরিবর্তন উত্তর রাজনীতির সুবিধাভোগী হিসেবে মনে বিএনপিকে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের সাথে বিএনপির শত্রুতার শুরুটা এখানে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রথমে সম্পর্ক ভাল ছিল, ৮৬ সালে আওয়ামীলীগ এরশাদের জামানার নির্বাচনে অংশ নিলে সম্পর্ক বৈরী হয়ে যায়। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপি এক দফা জোরালো করে তুললে, আন্দোলনের শেষের দিকে এসে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে ঐক্য দেখা দেয়। কিন্তু ৯১ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সুক্ষ্ণ কারচুপির অভিযোগ আনে, তারপর থেকে আগাগোড়া সবসময়ই দুটি দলের সম্পর্ক বৈরী। শেখ হাসিনার উপর ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হলে, বিএনপিআওয়ামীলীগের শত্রুতা অন্যরকম মাত্রা পায়।
রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে নীতি ও আদর্শ নিয়ে দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ হতে পারে। কর্মসূচী নিয়ে প্রতিযোগীতা হতেই পারে। কিন্তু তার সমাধানেরতো একটা সূত্র থাকতে হবে। পথ থাকতে হবে। কিন্তু অবাক ও বিষ্ময়ের বিষয়, এদেশে সেটার অস্তিত্ব নেই। কিছুতেই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। বাইরে থেকে হোক ভেতর থেকে হোক, কোনভাবেই দেশের রাজনীতিকে সঠিক পথে আনা যাচ্ছে না।
সবচেয়ে দু:খের বিষয় হলো, নির্বাচন এলে শত্রুতাটি যেন আগুনের লেলিহান শিখার মত আকাশ স্পর্শ করতে চায়। সম্প্রতি, বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচী শুরু হওয়ার অব্যবহিত পর থেকে, দেখা যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফিরে আসছে চির চেনা সেই অস্থিরতা। অসহিষ্ণুতা।
ঢাকার মীরপুর ও পিরোজপুরসহ আরও কিছু স্থানে দুটি দলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে জনমনে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, একি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠবে?