পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে দ্রুত স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইউজিসি অডিটরিয়ামে চলতি অর্থবছরের চুক্তি সম্পাদন ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এপিএ’র মূল্যায়ন সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে রেজিস্ট্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উচিত দ্রুত স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া। কেননা রেজিস্ট্রার বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় উপাচার্যকে সহযোগিতা করেন। একজন কর্মঠ ও দক্ষ রেজিস্ট্রারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুই নির্ভরশীল।

‘বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। বিদ্যমান আইন যথাথথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের কাজ হবে সঠিক তথ্য উপাচার্যদের কাছে তুলে ধরা। ’

সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই করেছে।

করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সই হয়। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর বাকি ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি হবে।

সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি প্রতিবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ চুক্তিটি সই করে আসছে।

কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং ড. মো. আবু তাহের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রাররা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, উচ্চশিক্ষার সার্বিক অগ্রগতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ, কর্মকৃতী মূল্যায়নের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই করেছে।

অনুষ্ঠানে ১৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট এবং ইউজিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।