পাবনায় গৃহবধূ দগ্ধ, ননদ আটক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পাবনায় এক গৃহবধূ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, যার গায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন দিয়েছে বলে স্বজনের অভিযোগ। এ ঘটনার পর দগ্ধ গৃহবধূর ননদকে পুলিশ আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আমিনপুর থানার ত্রিমহনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ গৃহবধূকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
আমিনপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, ১২ বছর আগে একই থানার ত্রিমহনী গ্রামে মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী মালোয়েশিয়া যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী বোনের কাছে টাকা পাঠান সরসার খরচের জন্য। এই টাকা পাঠানো নিয়ে স্বামীর বোন ও ওই গৃহবধূর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।
ওসি বলেন, গত মঙ্গলবারও সংসার খরচের টাকা দেওয়া-নেওয়া নিয়ে ননদ-ভাবির ঝগড়া বাধে। এর জেরে বৃহস্পতিবার ভোরে গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একজনকে আটক করা হয়েছে, অন্যরা পালিয়ে আছে বলে ওসি জানান।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর ভাই অভিযোগ করেন, দুলাভাই দেশের বাইরে থাকেন। যৌতুকের জন্যে মাঝেমধ্যে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এদিকে দুলাভাই সংসার খরচের জন্যে আমার বোনের কাছে টাকা পাঠালে তারা সেই টাকা তাকে দিত না। আমার বোন সংসার খরচের টাকা চাইতে গেলেই উল্টো বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্যে মারপিট করত।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট গৌতম কুমার বলেন, অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।