পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতে সাক্ষ্য দিলেন ১১ বাংলাদেশি
লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অতিরিক্ত ভিসা নবায়ন ফি নেওয়ার বিষয়ে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) কাছে ১১ জন বাংলাদেশি সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া পাপুলের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক বই জব্দ করেছে সিআইডি।
কুয়েতের একাধিক সূত্র জানায়, মানবপাচার ও অর্থপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৭ জুন কুয়েত সিআইডি এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে। তাকে দেশটির সিআইডি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার বিরুদ্ধে সেখানে ১১ বাংলাদেশি সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীরা পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অতিরিক্ত ভিসা নবায়ন ফি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
কুয়েত সিআইডি এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাপুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে কুয়েত সিআইডি।
কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এমপি মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুলের গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সেই চিঠির জবাব এখনো আসেনি।
এর আগে ৭ জুন কুয়েতে এমপি মোহাম্মদ শহীদ ইসলামের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
সূত্র জানায়, মানব ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কুয়েত সিআইডি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলামও রয়েছেন।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম। তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মানবপাচার করে এক হাজার ৪শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানও শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।