পাথরের টাকা দেননি প্রতারক সাহেদ, দিয়েছেন ভুয়া চেক
প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কথিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. বুলবুল হোসেনের সঙ্গে চুক্তির বড়খেলাপ করে সরবরাহকৃত পাথরের টাকা দেননি। ভুয়া চেক দিয়ে তাকে হয়রানি করেছেন, দিয়েছিলেন মামলায় জড়ানোর হুমকি।
পটিয়ার বাসিন্দা ও মেসার্স বুল বুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. বুলবুল হোসেন বলেন, কুতুবদিয়া সাইক্লোন সেন্টারে কাজ পাওয়ার কথা বলে এ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখাতে ঢাকা অফিসে ডেকে নেন সাহেদ করিম।
তিনি তার প্রকল্পে দুইশ কোটি টাকার কালো পাথর সরবরাহের কথা বলে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কার্যাদেশ দেন। পাথর দেওয়ার পর অর্ধেক টাকা ও বাকি অর্ধেক টাকা ৫-৬ দিন পর পরিশোধের কথাও বলেন সাহেদ। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।
বুলবুল হোসেনের অভিযোগ, কার্যাদেশ অনুযায়ী কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মগনামা ঘাটে পাথর সরবরাহ করার পর ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫২০ টাকা ও ৭ এপ্রিল ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫৬ টাকার বিলসহ মোট ২৯ লাখ ২৬ হাজার ১৭৬ টাকার বিল দাখিল করি রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান সাহেদ করিম বরাবরে।
‘এর প্রেক্ষিতে আগে পাওয়া ওই বছরের ৮ এপ্রিল প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১২ লাখ টাকার একটি চেক, ২৩ এপ্রিল ৬ লাখ টাকার একটি চেক ও পরবর্তীতে ৬ লাখ টাকার আরও একটি চেক ব্যাংকে প্রত্যাখ্যাত হয়। ঢাকায় গিয়ে তার কাছে টাকা চাইলে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। ’
তিনি বলেন, দালালদের মাধ্যমে ঢাকায় বসে চট্টগ্রামের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গেও প্রতারণা করেছে সাহেদ করিম। কখনও নিজেকে ঠিকাদার, কখনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবার কখনও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে সে দাপট দেখিয়েছে। টাকার জন্য চাপ দিলে তার কক্ষে ঢুকিয়ে ব্যবসায়ীদের মারধরও করেছে।
‘অফিস থেকে নামার পর তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ব্যবসায়ীদের লাঞ্ছিত করেছে। তাই ভয়ে অনেকে টাকা পেলেও ক্ষতিটা তখন বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছিল। ’
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছি। আমি তার প্রতারণার বিরুদ্ধে ঈদের পর মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।