পাটকেলঘাটায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি, আতংকিত এলাকাবাসী
পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
পাটকেলঘাটায় হঠাৎ চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি দিন কোথাও না কোথাও চুরির খবর শোনা যাচ্ছে। এই চোর সিন্ডিকেটটি কে বা কারা পরিচালনা করছে তা প্রশাসনসহ কেউই আচ করতে পারছে না। তবে চুরির বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন পাটকেলঘাটাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন থেকে পাটকেলঘাটাসহ আশেপাশে আবারো চুরির মত ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বসবাসকারীরা। ছিচকে চোর গুলো বেপরোয়া হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে চুরির থেকে দিনে চুরির ঘটনা বেশী ঘটছে বলে জানা গেছে। পাটকেলঘাটা সদরের পলাশের বাড়ীতে দিনে বাড়ীতে মানুষ না থাকার সুযোগ স্বর্ণালংকার, নগর টাকা, আসবাব পত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কুমিরার রাঢ়ীপাড়া গ্রামের পূর্বপাড়ার রেজাউল শেখের বাড়ি হতে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথার কাছ থেকে একটি বৈদ্যুতিক মটর চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। তার আগের রাতে কুমিরা গ্রামের পূর্বপাড়া হতে মজিবর শেখের বাড়ি হতে একইভাবে বৈদ্যুতিক মটর ও বাড়ির টুকিটাকি জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের শিক্ষিকা চন্দ্রানী বিশ্বাসের কুমিরা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বাড়ি হতে দিনে দুপুরে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং ল্যাপটপ সহ লক্ষাধিক টাকা মুল্যমানের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। দিনে দুপুরে পাচিল টপকে গ্রীল কেটে তালা ভেঙ্গে চুরি করাকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় প্রতিবেশী কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার দাশ বলেন, হঠাৎ করেই চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি আমাদের চিন্তিত করে তুলেছে। চোর চক্রটি রাতের বেলা শীতকে প্রধান সুযোগ বলে মনে করছে। তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি এলাকাবাসী সচেতন হলেই কিংবা পাহারার ব্যবস্থা করলে এদের হয়তো ধরা বা ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হবে। অনেকেই অভিযোগ তুলে বলেন, নেশার টাকা জোগাড় করতে অনেকে এ ধরনের কাজ করতে পারে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহেদ মুর্শেদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা এ চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের ধরার চেষ্টা প্রশাসনিকভাবে অব্যাহত রয়েছে।